ঢাকা, রবিবার ২১, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৬:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

‘বন্ধুর’ বাসায় অসুস্থ, ২ সপ্তাহ পর হাসপাতালে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৯ এএম, ১০ মে ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অঙ্কন বিশ্বাস নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তবে অঙ্কনের বন্ধুদের অভিযোগ, গত ২৪ এপ্রিল শাকিল নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুর বাসায় অসুস্থ হন অঙ্কন। ওইদিনই রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে পালিয়ে যান শাকিল। শাকিল ও অঙ্কনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও জানান তারা।
অঙ্কনের বন্ধু সানী বলেন, ২৪ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে আজগর আলী হাসপাতাল থেকে অঙ্কন অসুস্থ বলে একটা ফোন আসে। পরে সেখানে গিয়ে অঙ্কনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখতে পাই। চিকিৎসকরা তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছিলেন। এসময় হাসপাতালে শাকিল ও তার ভাই হিমেলকে দেখতে পাই। শাকিল অঙ্কনকে বোন ও বন্ধু পরিচয়ে ভর্তি করাতে চাইলে প্রথমে ভর্তি করায়নি কর্তৃপক্ষ। পরে স্ত্রীর পরিচয়ে ভর্তি করান।

তিনি বলেন, শাকিল প্রথমে ঘটনা বলতে চাননি। পরে স্বীকার করেন, তার বাসায় কথা বলার একপর্যায়ে অঙ্কন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে সানীই অঙ্কনের পরিবারকে খবর দেন।

আজগর আলী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্ত্রীর পরিচয়ে অঙ্কনকে হাসপাতালে ভর্তি করান শাকিল। পরে অঙ্কনের বাবা তপন বিশ্বাস তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করেন।

অঙ্কনের মৃত্যুর পরে ভয়ে মুখ খুলছে না তার পরিবার। এদিকে অঙ্কনকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে পলাতক রয়েছেন শাকিল। মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আপাতত আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরে কথা বলবো।

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একটা পুলিশ ফাইল হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যদি কোনো অভিযোগ দেওয়া হয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।