ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১০:৫৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

রোববার থেকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ডেমু ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১৬ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে অচল পড়ে থাকা ডেমু ট্রেন দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সচল হওয়া ডেমু ট্রেন রোববার (০৯ অক্টোবর) থেকে রংপুর-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহীর সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পশ্চিম) মো. আব্দুল আওয়াল।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোবাবর থেকে পার্বতীপুর-রংপুর রুটে একটি ডেমু ট্রেন চলাচল করবে। সময়সূচি অনুযায়ী, প্রতিদিন বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে যাবে এবং সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে রংপুরে পৌঁছাবে। আবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে রংপুর থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে পার্বতীপুরে পৌঁছাবে। চলাচলকারী ট্রেনটির কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক হলে ভবিষ্যতে পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর, পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া ও কাউনিয়া থেকে কুড়িগ্রাম রুটেও চলাচল করবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ সেট ডেমু ট্রেন আমদানি করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল ওই ট্রেনের মাধ্যমে কাছাকাছি দূরত্বে ব্যাপক যাত্রী পরিবহন করা। চীনের তানসন ইন্টারন্যাশনাল ও ডানিয়াল টেকনিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ওই ডেমু ট্রেনের নির্মাতা। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ওই ট্রেনগুলো এক ধরনের বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে পরিচালিত যা প্রযুক্তি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে হস্তান্তর করেনি। 

এর মডিউল বিকল হলে নতুন মডিউলের সঙ্গে সফটওয়্যার সেটআপ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর জন্য ধরনা দিতে হয় চীনা প্রকৌশলীদের কাছে যা ছিল অনেক ব্যয়বহুল। একটি ডেমুতে ৪০টি মডিউল রয়েছে। যার একটির দাম প্রায় ৭ লাখ টাকা। চীনা প্রকৌশলীরা প্রযুক্তি হস্তান্তর না করায় একটার পর একটা ট্রেন বিকল হতে থাকে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী ও আনবিক শক্তি কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের সহযোগিতা চাওয়া হয়। আসাদুজ্জামান ডেমু নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গবেষণাগার হিসাবে তিনি বেছে নেন সৈয়দপুর রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবের একটি কক্ষ। ৭২ দিনের প্রচেষ্টায় তিনি উদ্ভাবন করেন বাস-ট্রাকের মতোই ডেমু চালানোর প্রযুক্তি। ব্যয়বহুল মডিউল সরিয়ে দেন তিনি। সেক্ষেত্রে বসানো হয় মাত্র দুটি কন্ট্রোলার। এতে চালু হয়ে যায় অচল এক সেট ডেমু ট্রেন।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রায়াল রানে কিছু সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে ট্রায়াল দেয় ডেমু ট্রেন।