ঢাকা, শনিবার ২৪, মে ২০২৫ ৫:৫৮:২৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সন্ধ্যায় ১২ জেলায় হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি আইপিএল: জমে উঠেছে প্লে-অফের লড়াই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টি ঈদের আগেই আসছে নতুন নকশার নোট ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, জানালেন রিজওয়ানা বি.বাড়িয়া: লাশবাহী অ্যাম্বুল্যান্সে ডাকাতি, নারীসহ আহত ৯ গাজায় খাবার নেই, খাবারের অভাবে শিশুসহ ২৯ জন নিহত ছুটির দিনে বায়ুদূষণে শীর্ষে রাজধানী ঢাকা গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না: আইএসপিআর রাবিতে আপত্তিকর অবস্থায় আটক ছাত্রী-শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার ঐক্য ভেঙে গেছে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই: উমামা ফাতেমা ঈদ: ট্রেনের ২ জুনের টিকিট বিক্রি শুরু

হলিউডের ওয়াক অফ ফেম: ইতিহাসের এক অনন্য ল্যান্ডমার্ক 

আইরীন নিয়াজী মান্না | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৯ এএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ সোমবার

হলিউডে ডলবি থিয়েটারের দেয়ালে মোহাম্মদ আলীর নামে স্থাপিত তারকার সামনে লেখক।

হলিউডে ডলবি থিয়েটারের দেয়ালে মোহাম্মদ আলীর নামে স্থাপিত তারকার সামনে লেখক।

এ পৃথিবীতে কত কিছু যে দেখার আছে, কত কিছু যে জানার আছে! তার কতটুকুই বা আমরা জানতে পারি বা দেখতে পারি! ভ্রমণ করা আমার নেশা, দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। সারা বছর যতটুকু আয় করি তার প্রায় সবটুকুই আমি ঘুরে-বেড়িয়ে খরচ করে ফেলি।  এবার আমেরিকায় যাওয়ার আগেই প্রজেক্ট হাতে নিলাম ক্যালিফোর্নিয়ায় যাবো। 
নিউ ইয়র্ক থেকে রোজার ঈদের একদিন পর আমি আর আমার সেজ বোন রুমি আপা প্ল্যানে চড়ে বসলাম গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।  আমাদের গন্তব্য ক্যালিফোর্নিয়ার করোনা সিটি। সেখানে রুমি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড শামীম আপার আবাস।  সেই কবে থেকে শামীম আপা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপেক্ষায় বসে আছেন, আমার তো আর যাওয়া হয় না।  তাই এবার আর মিস করলাম না।  শামীম আপা আগে থেকেই রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছেন আমাদের কোথায় কোথায় নিয়ে যাবেন ঘুরতে।  
প্রথম তিনদিন আমরা করোনা শহরের বিভিন্ন স্পট ঘুরলাম।  ছবির মত সুন্দর ও পরিস্কার করোনা শহর। চারদিক থেকে পাহাড় এ শহরকে ঘিরে রেখেছে।  এ শহরের প্রকৃতিক সৌন্দর্য চোখে নেশা ধরায়। 
চতুর্থ দিন আমরা গেলাম লস অ্যাঞ্জেলেসে, হলিউডে।  ক্যালিফোর্নিয়ায় যাবো, আর হলিউডে যাবো না তা তো হয় না! রুমি আপা আগে আরও দুবার হলিউডে ঘুরতে গেছেন।  কিন্তু আমি প্রথমবার যাচ্ছি বলে তার আগ্রহের শেষ নেই।  হলিউডে গিয়ে রূপালী পর্দার আলো ঝলমলে পরিবেশে কি কি দেখবো তার একটি সারসংক্ষেপ উনি আমাকে জানিয়ে দিলেন।
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবহাওয়া বেশ চমৎকার।  নিউ ইয়র্কের মত শীত নেই। শনিবার সকালের আলোঝলমলে রোদ গায়ে মেখে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে। মাথার ওপর সুনীল আকাশ, চারপাশে বিশাল বিশাল পাহাড় আর সমদ্র দিয়ে ঘেরা ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য।  পাহাড়ের বুক চিঁড়ে তৈরি করা কালো পিচঢালা কালো পথ।  সে পথে চাকা ঘষে আমাদের গাড়ি এগিয়ে চলেছে।  চালক শামীম আপার তরুণ পুত্র নাহিয়ান।  স্পাইডারের মত আঁকাবাঁকা পথে দক্ষতার সাথে গাড়ি চালাচ্ছে মৃদুভাসি নাহিয়ান। আস্তে আস্তে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি আমাদের লক্ষের দিকে। 
তারকা খচিত একটি বিখ্যাত পথ সারা জীবন শুধু টেলিভিশনে দেখেছি, এবার নিজ চোখে দেখলাম। বলছি হলিউড়ের ওয়াক অফ ফেমের কথা...।
‘হলিউড ওয়াক অফ ফেম’ আসলে একটি ল্যান্ডমার্ক। হলিউড বুলেভার্ডের ১৫টি ব্লক এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের ভাইন স্ট্রিটের তিনটি ব্লক বরাবর ফুটপাতে ২,৮০০টি তারকা চিহ্ন রয়েছে। লোকে কত আগ্রহ করে এগুলো দেখতে যায়! কিন্তু কেন…! 
এই তারকাগুলোর মধ্যে প্রথমটি স্থায়ীভাবে ১৯৬০ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। বিনোদন শিল্পে কৃতিত্বের স্মারক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সঙ্গীতজ্ঞ, প্রযোজক, পরিচালক, নাট্য/সঙ্গীত দল, ক্রীড়াবিদ, কাল্পনিক চরিত্র এবং অন্যান্যদের সম্মনিত করার লক্ষ্যে এই তারকা খচিত নামফলক তৈরি করা হয়। যা এখন লোকে একনজর দেখে নয়ন জুড়ায়। 
শনিবার ছুটির দিন বলে লোকে লোকারণ্য সারা এলাকা।  সেই স্বপ্নীল তারকা চিহ্নগুলো চোখে পড়তেই আনন্দে বিহবল হয়ে গেলাম।
ওয়াক অফ ফেম হলিউড চেম্বার অফ কমার্স পরিচালনা করে এবং স্ব-অর্থায়নকারী হলিউড হিস্টোরিক ট্রাস্ট এর রক্ষণাবেক্ষণ করে। 
হলিউড চেম্বার নির্বাচিত সেলিব্রিটি বা তাদের স্পনসরদের কাছ থেকে ফি সংগ্রহ করে (বর্তমানে পঁচাত্তর হাজার ইউএস ডলান)। এই টাকা তারকা নির্মাণ এবং প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি ওয়াক অফ ফেমের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খরচ করা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে প্রতি বছর আনুমানিক ১ কোটি দর্শনার্থী ঘুরতে আসেন।
ওয়াক অফ ফেম হলিউড বুলেভার্ডের পূর্ব থেকে পশ্চিমে ১.৩ মাইল (২.১ কিমি) দীর্ঘ। গাওয়ার স্ট্রিট থেকে হলিউড এবং লা ব্রিয়া অ্যাভিনিউতে লা ব্রিয়া গেটওয়ে পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়াও মার্শফিল্ড ওয়ের একটি ছোট অংশ রয়েছে যা হলিউড বুলেভার্ড এবং লা ব্রিয়ার মধ্যে সংযোগ তৈরি করে ইউক্কা স্ট্রিট এবং সানসেট বুলেভার্ডের মধ্যে ভাইন স্ট্রিটে ০.৪ মাইল (০.৬৪ কিমি) উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত হয়েছে। 
গবেষণা সংস্থা এনপিও প্লগ রিসার্চের প্রতিবেদন বলছে, ওয়াকটি বছরে প্রায় ১ কোটি দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে। সানসেট স্ট্রিট, টিসিএল চাইনিজ থিয়েটার (আগের নাম গ্রুম্যানস), ডলবি থিয়েটার (আগের নাম কোডাক থিয়েটার), কুইন মেরি এবং লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মিউজিয়াম অফ আর্ট দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণের কেন্দ্র।   
২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, ওয়াক অফ ফেমে ২,৭৫২টি তারকা রয়েছে। প্রতিটি তারকা একটি থেকে অন্যটি ৬ ফুট (১.৮ মিটার) ব্যবধানে অবস্থিত।  প্রতিটি তারকা বা স্টার গোলাপী টাইলস দিয়ে তৈরি। পাঁচ-বিন্দু তারাকার চার দিক চিকন পিতল দিয়ে ঘেরা। প্রতিটি তারার উপরের অংশে পিতলের ব্লক অক্ষরে সম্মানিত ব্যক্তির নাম খোদাই করা। আর নিচের অংশে একটি গোলাকার পিতলের প্রতীক বা লোগো বসানো হয়েছে। এই লোগো সম্মানিত ব্যক্তি কোন বিভাগে অবদান রেখেছেন তা নির্দেশ করে। 
এ সকল ব্যক্তিদের নির্বাচন করতে ছয়টি নির্দিষ্ট বিভাগ ও প্রতীক রয়েছে।  এগুলো হলো:
ক্লাসিক ফিল্ম ক্যামেরা যা গতিচিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে ।
টেলিভিশন রিসিভার যা সম্প্রচার টেলিভিশনের প্রতিনিধিত্ব করে ।
ফোনোগ্রাফ রেকর্ড যা অডিও রেকর্ডিং বা সঙ্গীতের প্রতিনিধিত্ব করে ।
সম্প্রচারিত রেডিওর প্রতিনিধিত্বকারী রেডিও মাইক্রোফোন।
থিয়েটার/লাইভ পারফর্মেন্সের প্রতিনিধিত্বকারী কমেডি/ট্র্যাজেডি মাস্ক (১৯৮৪ সালে যোগ করা হয়েছে)।
ক্রীড়া বিনোদনের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাথলেটিক ট্রফি। সব শেষে ২০২৩ সালে বিনোদন শিল্পে ক্রীড়াবিদদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ষষ্ঠ বিভাগ স্পোর্টস এন্টারটেইনমেন্ট যোগ করা হয়। 
এখন পর্যন্ত ওয়াকে অংশগ্রহণকারী তারকাদের মধ্যে ৪৭ ভাগ চলচ্চিত্র বিভাগে, ২৪ ভাগ টেলিভিশনে, ১৭ ভাগ অডিও রেকর্ডিং বা সঙ্গীতে, ১০ ভাগ রেডিওতে, ২ ভাগ থিয়েটার/লাইভ পারফর্মেন্সে এবং ১ ভাগ এরও কম ক্রীড়া বিনোদন বিভাগে পুরষ্কার পেয়েছেন। হলিউড চেম্বার অফ কমার্সের মতে, প্রতি বছর ওয়াকে প্রায় ৩০ জন নতুন তারকা যুক্ত হন।
তারকা’র অবস্থান:
ওয়াকের দুটি প্রধান রাস্তা হলিউড বুলেভার্ড এবং ভাইন স্ট্রিট। টিসিএল (পূর্বে গ্রুম্যানস) চাইনিজ থিয়েটারের সামনের রাস্তাটি হলিউড বুলেভার্ড। চাইনিজ থিয়েটার ও ডলবি থিয়েটার পাশাপাশি।  ফলে ওয়াক অব ফেমের মূল কেন্দ্রও এই রাস্তাটি। টিসিএল (পূর্বে গ্রুম্যানস) চাইনিজ থিয়েটারের সামনে অনেক সুপরিচিত সেলিব্রিটিদের তারকার দেখা মেলে। অস্কারজয়ী তারকাদের সাধারণত ডলবি থিয়েটারের কাছে রাখা হয়। ২০০১ সাল থেকে এখানে বার্ষিক একাডেমি পুরষ্কার অস্কার অ্যাওয়ার্ড প্রদানের অনুষ্ঠান আয়োজন  করা হয়।  এর আগে চাইনিজ থিয়েটারে এই অনুষ্ঠান আয়োজন  করা হতো।
 

সৃষ্টির ইতিহাস:
হলিউড চেম্বার অফ কমার্স ১৯৫৩ সালে তাদের স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি ই এম স্টুয়ার্টকে ওয়াক অফ ফেম তৈরির মূল ধারণাটির কৃতিত্ব দেয়। স্টুয়ার্ট সারা বিশ্বের গ্ল্যামার জগতের তারকাদের গৌরবময় স্মৃতিকে ধরে রাখাতে ওয়াকটি তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন বলে জানা গেছে। চেম্বারের আরেক সদস্য এবং হলিউড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হ্যারি সুগারম্যান স্বাধীনভাবে কাজটি শেষ করার কৃতিত্ব পেয়েছিলেন।  সে সময় এই ধারণাটি বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং নির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলি তৈরির জন্য একটি স্থাপত্য সংস্থাকে সাথে রাখা হয়। ১৯৫৫ সালের মধ্যে মৌলিক ধারণা এবং সাধারণ নকশাসহ পরিকল্পনাগুলো লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি কাউন্সিলে জমা দেওয়া হয়েছিল । 
তবে তারকা তৈরির ধারণার উৎপত্তি সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। একটি মতে, ঐতিহাসিক হলিউড হোটেল, যা হলিউড বুলেভার্ডে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, যেখানে বর্তমানে ওভেশন হলিউড কমপ্লেক্স এবং ডলবি (পূর্বে কোডাক) থিয়েটার অবস্থিত। এর ডাইনিং রুমের আড্ডায় এই ধারনাটি নিয়ে প্রথম আলোচনা হয় এবং তা সম্ভবত প্রাথমিক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।  
 

নির্বাচন এবং নির্মাণ:
১৯৫৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত নকশা এবং স্কিম অনুমোদন হয়। ১৯৫৬ সালের বসন্ত এবং ১৯৫৭ সালের শরতের মধ্যে তৎকালীন বিনোদন শিল্পের চারটি প্রধান শাখার প্রতিনিধিত্বকারী কমিটিগুলি ১,৫৫৮ জন সম্মানিত ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেছিল: মোশন পিকচার, টেলিভিশন, অডিও রেকর্ডিং এবং রেডিও। এই কমিটি ব্রাউন ডার্বি রেস্তোরাঁয় মিলিত হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে সিসিল বি. ডেমিল, স্যামুয়েল গোল্ডউইন, জেসি এল. ল্যাস্কি, ওয়াল্ট ডিজনি, হ্যাল রোচ , ম্যাক সেনেট এবং ওয়াল্টার ল্যান্টজের মতো বিশিষ্ট নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। 
১৯৫৮ সালে ওয়াকের নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু দুটি মামলার কারণে কাজ শেষ হতে দেড়ি হয়। প্রথম মামলাটি স্থানীয় সম্পত্তির মালিকরা দায়ের করেন। পরের বছর ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি বৈধ বলে রায় দেয় আদালত। চার্লি চ্যাপলিনের ছেলে চার্লস চ্যাপলিন জুনিয়রের দায়ের করা দ্বিতীয় মামলায় তার বাবার নাম বাদ পড়ার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। চার্লি চ্যাপলিনের মনোনয়ন একাধিক মহল থেকে চাপের কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ১৯৬০ সালে চ্যাপলিনের মামলা খারিজ হয়ে যায়, যা প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পথ প্রশস্ত করে। 
 

প্রথম তারকাটি কার:
আমেরিকান অভিনেত্রী জোয়ান গিগনিলিয়াট ট্রিমিয়ার উডওয়ার্ডকে (জন্ম ফেব্রুয়ারী ২৭, ১৯৩০) ওয়াক অফ ফেমে তারকা গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সম্ভবত তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার ছবি তোলা হয়েছিল সবার আগে। তার পর মূল তারকাগুলো একটি ধারাবাহিক প্রকল্প হিসাবে ক্রমশ স্থাপন করা হয়েছিল।  প্রচার ও প্রসারের জন্য এবং ওয়াকটি শেষ পর্যন্ত কেমন দেখাবে তা প্রদর্শনের জন্য ১৯৫৮ সালের আগস্টে হলিউড বুলেভার্ড এবং হাইল্যান্ড অ্যাভিনিউয়ের উত্তর-পশ্চিম কোণে আটটি তারকা অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছিল। জোয়ান ছাড়া অন্য সাতজন হলেন, অলিভ বোর্ডেন, রোনাল্ড কোলম্যান, লুইস ফাজেন্ডা, প্রেস্টন ফস্টার, বার্ট ল্যাঙ্কাস্টার, এডওয়ার্ড সেডগউইক এবং আর্নেস্ট টরেন্স।  ওয়াক অফ ফেমের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ১৯৬০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী। ১৯৬০ সালের ২৮ মার্চ হলিউড এবং গাওয়ারের সংযোগস্থলের কাছে  নতুন ওয়াকের পূর্বপ্রান্তে প্রথমবারের মত পরিচালক স্ট্যানলি ক্র্যামারের নামসহ স্থায়ী তারকা স্থাপন করা হয়। 
 

স্থবিরতা এবং পুনরুজ্জীবন:
যদিও মূলত হলিউড বুলেভার্ডের এই চলচ্চিত্র পাড়াকে আকর্ষণীয় করতে এবং তারকা শিল্পীদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এই ওয়াকটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৬০ এবং ১৯৬১ সালে প্রায় ১,৫০০টি তারকা স্থাপনের পর আট বছর কেটে যায়। অথচ এ সময়ের মধ্যে আর একটিও নতুন তারকা যোগ করা হয়নি। ১৯৬২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি কাউন্সিল হলিউড চেম্বার অফ কমার্সকে ওয়াকে নতুন নাম যুক্ত করার বিষয়ে ‘এজেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে একটি অধ্যাদেশ পাস করে। এবং পরের ছয় বছর ধরে চেম্বার এ কাজ করার জন্য নিয়ম, পদ্ধতি এবং অর্থায়ন কিভাবে হবে তা তৈরি করে। ১৯৬৮ সালের ডিসেম্বরে ড্যানি থমাস আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রিচার্ড ডি. জানুককের নামে আট বছরের মধ্যে প্রথম তারকা প্রদান করা হয়। ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসে লস অ্যাঞ্জেলেস শহর অথারিটি হলিউড ওয়াক অফ ফেমকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ঐতিহাসিক-সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে মনোনীত করে ।
রেডিও ব্যক্তিত্ব, টেলিভিশন প্রযোজক এবং চেম্বারের অন্যতম সদস্য জনি গ্রান্টকে সাধারণত সেই পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়নের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। যা ওয়াককে পুনরুজ্জীবিত করেছিল এবং এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ১৯৬৮ সাল থেকে, গ্রান্ট প্রচারকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক প্রেস কভারেজকে উৎসাহিত করেছিলেন। 
১৯৮০ সালে গ্রান্টকে টেলিভিশন কাজের জন্য একটি তারকা প্রদান করা হয়েছিল। ২০০২ সালে ওয়াক উন্নত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি "বিশেষ" বিভাগে দ্বিতীয় তারকা পান। তাকে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান এবং হলিউডের সম্মানসূচক মেয়র হিসেবেও মনোনীত করা হয়। তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৮ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উভয় পদেই ছিলেন। 
 

সম্প্রসারণ:
১৯৮৪ সালে বিনোদন শিল্পের লাইভ পারফর্ম্যান্স শাখায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পঞ্চম বিভাগ হিসেবে ‘লাইভ থিয়েটার’ যোগ করা হয়। এ সময়ই আগে স্থাপিত তারকাগুলো সাথে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ফুটপাতে তারকাদের একটি দ্বিতীয় সারি তৈরি করা হয়।
১৯৯৪ সালে ওয়াক অফ ফেম হলিউড বুলেভার্ডের পশ্চিমে একটি ব্লক প্রসারিত করা হয়। এটি সাইকামোর অ্যাভিনিউ থেকে নর্থ লাব্রিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ব্লক মার্শফিল্ড ওয়ের ছোট অংশ যা হলিউড এবং লা ব্রিয়াকে সংযুক্ত করেছে। একই বছর যেখানে রূপালী পর্দায় নারী অভিনয় শিল্পীদের অবদান তুলে ধরতে "ফোর লেডিস অফ হলিউড" গেজেবো বা প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়। হলিউডের স্বনামধন্য চার অভিনেত্রী যথাক্রমে ম্যাক্সিকান অভিনেত্রী ডলারস ডেল রিও, আমেরিকান অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী ডরথি ড্যানড্রিজ, আমেরিকান অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী মেই ওয়েস্ট এবং চীনা  বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেত্রী অ্যানা মে  ওয়াং-এর ভাষ্কর্য রূপালী রঙের মেটাল দিয়ে নির্মাণ করা হয়।  এই প্যাভিলিয়নের ঠিক উপরে চার অভিনেত্রীর মাথার ওপরের অংশে হলিউডের কালজয়ী অভিনেত্রী মেরেলিন মনরোর একটি ছোট আবক্ষ মূর্তিও ছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালের জুন মাসে আবক্ষ মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়। 
একই সময়ে, কিংবদন্তী অভিনেত্রী সোফিয়া লরেনকে ওয়াকের ২০০০তম তারকা দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল। এর আগেও ১৯৯১ সালে তিনি আরও একটি তারকা পেয়েছিলেন। সোফিয়া লরেন হলিউডে নিজ ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত সময়ে এই এলাকার বিখ্যাত রুজভেল্ট হোটেলে দুই বছর বসবাস করেছিলেন।
 

নিয়ম সমন্বয়:
ওয়াক অফ ফেমের নিয়ম অনুসারে, ছয়টি প্রধান বিনোদন বিভাগের বাইরে অবদান রাখা কাউকে মনোনী বা বিবেচনা করা নিষিদ্ধ। তবে নির্বাচন কমিটি তাদের নিয়মের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করে নির্বাচনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য একটি কাজ করেছিলো। উদাহরণস্বরূপ, হলিউড এবং ভাইনের কোণে অবস্থিত ওয়াকের চারটি রাউন্ড চাঁদে অবতরণ স্মৃতিস্তম্ভটির কথা বলা যায়। অ্যাপোলো ১১ মহাকাশচারীদের "টেলিভিশন শিল্পে অবদান" হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় এই কমিটি। ২০০৫ সালে জনি গ্রান্ট স্বীকার করেন, প্রথম চাঁদে অবতরণকে টেলিভিশন বিনোদন ইভেন্ট হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা ‘একটু ঝামেলা’র ছিলো।  
চাঁদে অ্যাপোলো ১১ অভিযানের স্মৃতির স্বীকৃতি হিসেবে প্রথম চাঁদে অবতরণকারী তিন নভোচারির নামেও ওয়াক অফ ফেমে তারকা বা স্টার রয়েছে।  চারটি অভিন্ন বৃত্তাকার চাঁদ, প্রতিটিতে তিনজন মহাকাশচারীর নাম নীল এ. আর্মস্ট্রং, এডউইন ই. অলড্রিন জুনিয়র এবং মাইকেল কলিন্স-এর নাম লেখা আছে। আরও লেখা আছে প্রথম চাঁদে অবতরণের তারিখ ৭/২০/৬৯ এবং ‘অ্যাপোলো একাদশ’ শব্দগুলো। হলিউড এবং ভাইনের সংযোগস্থলের চার কোণে স্থাপন করা হয়েছে এটি। 
 

ডলবি থিয়েটারের দেয়ালে মোহাম্মদ আলীর নামে তারকা:
কিংবদন্তী বক্সিং তারকা মোহাম্মদ আলীর নামে হলিউডের ওয়াক অব ফেমে একটি তারকা আছে। তবে তা পথে নয়, রয়েছে দেয়ালে।  জানা গেছে, বক্সিংকে ‘লাইভ পারফর্মেন্স’-এর স্বীকৃতি হিসেবে মোহাম্মদ আলীর নামে একটি তারকা স্থাপন করার সিদ্ধান নেয় ওয়াক অব ফেম কমিটি। কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা মোহাম্মদ আলীকে জানালে আলী জানান, তার নাম পথের ওপর স্থাপন করা হলে পথচারিরা তা পায়ে দলিয়ে যাবে। যা তিনি চান না। কারণ তিনি তার নাম ইসলাম ধর্মের শেষ নবী মোহাম্মদ (সা:)-এর সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।  পরে কমিটি আলীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে ডলবি থিয়েটারের দেয়ালে তারকাটি স্থাপন করে। ডলবি থিয়েটার প্রঙ্গণে ঢুকতেই ডান দিকের দেয়ালে এই বিশেষ তারকাটির দেখা মেলে। এটিই একমাত্র তারকা যা রাস্তার ওপর নয় দেয়ালের বুকে স্থাপন করা হয়েছে। 
 

চ্যাপলিন এবং মামলা:
হলিউডের কমেডি কিং খ্যাত চার্লি চ্যাপলিন একমাত্র সম্মানিত ব্যক্তি যিনি ওয়াকে একই তারকা হিসেবে দুবার নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৫৬ সালে সর্বসম্মতিক্রমে ৫০০ জনের প্রাথমিক দলে তাকে ভোট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিটি শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দেয়। দৃশ্যত তার নৈতিকতা সম্পর্কিত প্রশ্নের কারণে তাকে পরে বাদ দেয়া হয়। ১৯৪০-এর দশকের শ্বেতাঙ্গ দাসত্বের উগ্রতার সময় তার বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং তার নাম বাদ দেয়া হয়েছিলো।  সম্ভবত তার বামপন্থী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এমনটি করা হয়েছিলো। এই তিরস্কারের ফলে তার ছেলে চার্লস চ্যাপলিন জুনিয়র একটি ব্যর্থ মামলা দায়ের করেন। চ্যাপলিনের তারকা অবশেষে ১৯৭২ সালে ওয়াকে যোগ করা হয়। সে বছরই  তিনি একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। 
কাল্পনিক চরিত্র:
মিকি মাউসের তারকাটি ছিল প্রথম কোনও অ্যানিমেটেড চরিত্রকে পুরস্কৃত করা। ১৯৭৮ সালে তার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে, মিকি মাউস প্রথম অ্যানিমেটেড চরিত্র হিসেবে তারকা লাভ করে এবং পরবর্তী দশকগুলোতে এ ধরনের প্রায় বিশটি চরিত্রকে তারকা প্রদান করা হয়। ওয়াকের অন্যান্য কাল্পনিক চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মুঞ্চকিন্স, কাইজু গডজিলা, ল্যাসি নামের লাইভ-অ্যাকশন কুকুর, পল রুবেন্সের চিত্রিত পি-উই হারম্যান, অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের চরিত্র যেমন শ্রেক এবং স্নো হোয়াইট, এবং সিম্পসনস এবং রুগ্র্যাটসসহ অ্যানিমেটেড টেলিভিশন চরিত্র।
 

চুরি এবং ভাঙচুর:
ভাবলে অবাক হতে হয় ওয়াক অফ ফেমে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। মার্কার এবং রঙ দিয়ে তারকার উপর লেখা অশ্লীলতা এবং রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে শুরু করে ভারী সরঞ্জাম দিয়ে ক্ষতি করা। ভাঙচুরকারীরা নামের নিচে তারার মধ্যে থাকা পিতলের শ্রেণীর প্রতীকগুলোও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এমনকি হলিউডের চার বিখ্যাত নারীর একটি মূর্তির অংশও চুরি করেছে। এসব কার্যকলাপ নিরুৎসাহিত করার জন্য হলিউড বুলেভার্ডের প্রান্তে লা ব্রেয়া অ্যাভিনিউ এবং ভাইন স্ট্রিটের মধ্যে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।  
অন্য দিকে, ওয়াক অফ ফেম থেকে চুরি হয়ে গেছে চারটি তারকা, যার প্রতিটির ওজন প্রায় ৩০০ পাউন্ড (১৪০ কেজি)। ২০০০ সালে জেমস স্টুয়ার্ট এবং কার্ক ডগলাসের তারকা দুটি হলিউড এবং ভাইনের সংযোগস্থলের কাছে তাদের অবস্থান থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।  সেখানে একটি নির্মাণ প্রকল্পের জন্য তারকাগুলোবেক সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।  পরে পুলিশ সাউথ গেটের শহরতলি থেকে তারকাগুলো উদ্ধার করে। তারা সেখানে এ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সন্দেহভাজন ব্যক্তি হলিউড এবং ভাইন প্রকল্পে নিযুক্ত একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। তারকাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং পুনর্নির্মাণ করতে হয়েছিল। জিন অট্রির পাঁচ তারকাগুলোর মধ্যে একটিও একটি নির্মাণ এলাকা থেকে চুরি হয়েছিল। 
২০০৫ সালে আরেকটি চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা নর্থ গাওয়ারের কাছে নর্থ এল সেন্ট্রো অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত হলিউড বুলেভার্ড সাইট থেকে গ্রেগরি পেকের নাম খচিত তারকাটি সরানোর জন্য একটি কংক্রিট করাত ব্যবহার করে। তারকাটি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু আসলটি কখনও উদ্ধার করা হয়নি এবং অপরাধীরাও কখনও ধরা পড়েনি। 
 

ট্রাম্পের তারকাটি ভাঙচুর:
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার স্বত্তাধিকারী এবং প্রযোজক হিসেবে কাজের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে তারকা স্থাপন করা হয়। কিন্তু একাধিকবার এই তারকা ভাঙচুর করা হয়। ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় জেমস ওটিস নামে একজন ব্যক্তি তারকার সমস্ত পিতলের খিলান ধ্বংস করার জন্য একটি স্লেজহ্যামার এবং একটি কুঠার ব্যবহার করেছিলেন। তিনি সহজেই ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিন বছরের জেল হয় তার। তারকাটি মেরামত করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালের জুলাই মাসে অস্টিন ক্লে নামে এক ব্যক্তি এটি দ্বিতীয়বার ধ্বংস করে। ক্লে পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং জেমস ওটিস তাকে জামিনে মুক্ত করেন। 
২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রঙ এবং অন্যান্য গ্রাফিতি দিয়ে তারকাটির মুখ বিকৃত করা হয় এবং ২০২০ সালের ২ অক্টোবর এটি আবার একটি পিস্তল দিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে ২০১৮ সালের আগস্টে, ওয়েস্ট হলিউড সিটি কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করে যার মাধ্যমে বারবার ভাঙচুরের কারণে তারকাটিকে স্থায়ীভাবে অপসারণের অনুরোধ জানানো হয়। এর জবাবে, হলিউড চেম্বার অফ কমার্স ঘোষণা করে, যেহেতু ওয়াক একটি ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ‘একবার একটি তারকা যুক্ত হয়ে গেলে... এটি হলিউড ওয়াক অফ ফেমের ঐতিহাসিক কাঠামোর একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়’ এবং এটি আর অপসারণ করা যাবে না। 

জ্যামাইকা, নিউ ইয়র্ক
২৮ এপ্রিল’ ২০২৫