ঢাকা, শনিবার ২৪, মে ২০২৫ ৬:১৯:৪০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সন্ধ্যায় ১২ জেলায় হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি আইপিএল: জমে উঠেছে প্লে-অফের লড়াই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টি ঈদের আগেই আসছে নতুন নকশার নোট ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, জানালেন রিজওয়ানা বি.বাড়িয়া: লাশবাহী অ্যাম্বুল্যান্সে ডাকাতি, নারীসহ আহত ৯ গাজায় খাবার নেই, খাবারের অভাবে শিশুসহ ২৯ জন নিহত ছুটির দিনে বায়ুদূষণে শীর্ষে রাজধানী ঢাকা গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না: আইএসপিআর রাবিতে আপত্তিকর অবস্থায় আটক ছাত্রী-শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার ঐক্য ভেঙে গেছে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই: উমামা ফাতেমা ঈদ: ট্রেনের ২ জুনের টিকিট বিক্রি শুরু

৮৬ বছর বয়সে উইন্ডসার্ফিংয়ে বিশ্বরেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ৫ মে ২০২৫ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বয়স কেবল একটি সংখ্যা মাত্র। ৮৬ বছর বয়সে উইন্ডসার্ফার হিসেবে গিনেস রেকর্ডে নাম লিখিয়ে সেটাই প্রমাণ করলেন গ্রিসের এক নারী। আনাস্টাসিয়া ইয়ারোলিমাতু নামের এই নারীই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক উইন্ডসার্ফার। কেফালোনিয়া দ্বীপের এই বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সে প্রথম উইন্ডসার্ফিং শিখেছিলেন।

এই বয়সে এসেও এখনো তিনি শুধু খেলাধুলার প্রতি তার অসাধারণ নিষ্ঠাই প্রদর্শন করছেন না, জীবনের প্রতি তার আকাঙ্ক্ষা এবং দুঃসাহসিক মনোভাবও প্রদর্শন করছেন।

আনাস্টাসিয়া বলেন, ‘যখন সার্ফিং করি, দারুন লাগে! বোর্ডে উঠে যখন আপনি পাল তুলে দেন, ডানা খুলে উড়ে যান, এই বলে যে: ‘ওহ ঈশ্বর, ইঞ্জিন নেই, কিছুই নেই!’ এটা আপনাকে অনেক সঞ্জীবনী শক্তি দেয়, আপনার আত্মা ভরিয়ে দেয়।

আনাস্টাসিয়া সবসময়ই খুব অ্যাকটিভ ছিলেন, আর খেলাধুলা পছন্দ করতেন। ৪১ বছর বয়সে হঠাৎ করেই উইন্ডসার্ফিং শুরু করেছিলেন। তিনি কখনো কারো কাছে উইন্ডসার্ফিং শেখেননি, নিজেই শিখেছেন।

আনাস্টাসিয়া জানান, ‘আমি তখন আমার সাবেক বন্ধুর সঙ্গে ছুটি কাটাতে স্পেনের লাস পালমাস দ্বীপে ছিলাম। সে চেয়েছিল আমরা যেন একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানতে পারি। কিন্তু আমরা বিরক্ত হয়ে উঠেছিলাম। দিনগুলো অনেক বড় মনে হচ্ছিল, সময় কাটছিল না, কারণ, সেখানে কোনো খেলাধুলার সুযোগ ছিল না - কিছুই না। হঠাৎ দূরে একজনকে উইন্ডসার্ফিং করতে দেখেছিলাম। সত্যি বলতে, আমি তখন এর নামই জানতাম না। আমি সেটা প্রথমবার দেখেছিলাম। তখন আমার স্বামীকে বলেছিলাম, যে ঐসময় আমার বন্ধু ছিল, ‘লুইজি! তুমি কি এটা দেখতে পাচ্ছ? এটাই! এটাই আমার জন্য।’

আনাস্টাসিয়া মোটর স্কুটারও চালান৷ তার নিজের তৈরি একটি ট্রেলারও আছে, যেটিতে করে তিনি বিভিন্ন সরঞ্জাম পরিবহণ করেন। পরবর্তী অভিযানের জন্য তিনি সবসময় প্রস্তুত থাকেন, জীবনকে পরিপূর্ণভাবে যাপন করেন তিনি।

আনাস্টাসিয়া বলেন, ‘আমি সবধরণের খেলাধুলা পছন্দ করি। আমি উইন্ডসার্ফিং করি। যখন বাতাস কম থাকে তখন আমার খুব ভালো লাগে, আমি এটা উপভোগ করি। আমি ওখানে যাচ্ছি। বেশ দূরে, ৩০০ মিটারের বেশি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমি এটা করে ফেলেছি। সেখানে সাত মিনিট থেকে ফিরে এসেছি। কেউ বিশ্বাসই করতে পারেনি যে আমি দ্বীপে পৌঁছে গেছি।’

যখন হালকা বাতাস থাকে তখন আপনার শুরু করা উচিত, বা একেবারে বাতাস না থাকলেও হতে পারে। তাহলে আপনি পাল তুলতে, ভারসাম্য বজায় রাখতে, সমুদ্রে বোর্ডের উপর দাঁড়ানো শিখতে পারবেন। কীভাবে ঘুরতে হয় সেটা অবশ্যই আপনার প্রথমে শিখতে হবে। আর বেশি দূরে যাবেন না! আপনাকে সত্যিই ঘুরে দাঁড়ানোটা প্রথম শিখতে হবে, কারণ, আপনি জানেন না কোথায় পাথর আছে, পাথর... আর আপনি হয়তো ফিরেও যেতে পারবে না। এটা বিপজ্জনক। সেজন্য আমি সবাইকে প্রথমে এখান থেকে শেখার পরামর্শ দেই।’

২০২৪ সালের জুন মাসে আনাস্টাসিয়া তার আরেকটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন: নিজের রেকর্ড ভেঙে তিনি কেফালোনিয়া এবং জাকিনথসের মধ্যে সার্ফিং করেন, যার দূরত্ব ছিল ১১ নটিক্যাল মাইল।

আনাস্টাসিয়া জানান, ‘এবার আমি চেয়েছিলাম গিনেস রেকর্ডের স্ট্যাম্পটি ১৬ অক্টোবরের পর লাগানো হোক, শেষ অংশের যাত্রাটি ৮৬ বছর পূর্ণ হওয়ার পর করতে চেয়েছিলাম, যেন কেউ আমাকে সাড়ে ৮৫ বছর না বলে।’

আনাস্টাসিয়ার আরও একটি ইচ্ছা আছে- সেই মানুষটিকে খুঁজে বের করা যার কাছ থেকে তিনি এত বছর আগে প্রথম উইন্ডসার্ফিং সরঞ্জাম ভাড়া নিয়েছিলেন। সেদিন এই খেলার প্রতি তার আজীবনের আবেগের জন্ম হয়েছিল।

আনাস্টাসিয়া বলেন, ‘তিনি যদি আমার বার্তাটি শোনেন, আমি আপনাকে আমার সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি। আমি তাকে উপহার হিসেবে কেফালোনিয়ায় ছুটি কাটানোর প্রস্তাব দেব। আমি কেফালোনিয়ার বিমানবন্দরের কাছে থাকি, মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্ব। যদি তিনি আমাকে বলেন যে তিনি আসছেন, তাহলে আমি তাকে বিমানবন্দরে থেকে নিয়ে আসব। সত্যি বলতে, আমি খুব খুশি হব।’

ততদিন পর্যন্ত আনাস্টাসিয়া নিজের মতো করে জীবনযাপন করবেন। আর অন্যদের তার নিজস্ব দর্শন দিয়ে অনুপ্রাণিত করবেন। তার দর্শন হচ্ছে, বয়স শুধুই একটি সংখ্যা।