ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৪:৩৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

অক্সফোর্ডের করোনা টিকার আদ্যোপান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ২১ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম। সোমবার আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের দুটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই ফলাফল আশাব্যঞ্জক হলেও ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর সুরক্কা দেবে কিনা তা এই ফলাফলে জানা যায়নি। বৃহৎ আকারের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

টুইটারে দ্য ল্যানসেট জানিয়েছে, দশ জন অংশগ্রহণকারীর একটি সাব-গ্রুপ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৭৭ জনের দেহে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট প্রয়োগ করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে পরীক্ষার ৫৬ দিন পর্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিবডি উৎপাদন ও টি-সেল রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর এই ফল আরও বেশি হতে পারে।

গবেষণা দলের প্রধান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অ্যান্ড্রিউ পোলার্ড বলেন, আমরা আশা করছি এই ফলাফলের অর্থ হলো শরীরের ইমিউন ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করতে পারবে এবং আমাদের ভ্যাকসিন মানুষকেব দীর্ঘ সময়ের জন্য সুরক্ষা দেবে।

বিশ্বের দুই শতাধিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবন প্রচেষ্টার মধ্যে যে ১৪টি মানুষের শরীরে ট্রায়াল করা হয়েছে তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডার্না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ডই সবথেকে এগিয়ে রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনেক বেশি আশাব্যঞ্জক। তবে এখনই তা পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেবে কিনা তা বলার সময় হয়নি। কারণ বড় ধরনের পরীক্ষা চলমান রয়েছে।

যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে ভ্যাকসিনটির ১০ কোটি ডোজ প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।

প্রথম দুই ধাপের পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কন্ট্রোল গ্রুপের(যাদেরকে ম্যানিনজাইটিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে) তুলনায় সার্স-কোভ-২ ভ্যাকসিন সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। তবে প্যারাসিটামল গ্রহণ করে তা কমানো সম্ভব। ভ্যাকসিনের বড় ধরনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল না।

গবেষকরা বলেছেন, বয়স্কদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে আরও ক্লিনিক্যাল গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। পরীক্ষার এই ধাপের ফলাফল গবেষণাগারে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিমাপকে কেন্দ্র করে। ভ্যাকসিনটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দেয় কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও পরীক্ষার প্রয়োজন।

অ্যান্ড্রিউ পোলার্ড বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটি কার্যকর সুরক্ষা দেবে কিনা এবং কতদিন পর্যন্ত সুরক্ষা পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিতভাবে জানতে আমাদের আরও গবেষণার প্রয়োজন।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন গবেষণার নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেন, আমাদের ভ্যাকসিনটি মহামারি ঠেকাতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত হতে আরও অনেক কাজ বাকি আছে। কিন্তু প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল আশাব্যঞ্জক।

প্রাথমিক দুটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলে জানা যায়নি ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে বা তাদের উপসর্গ কমে আসবে। এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায়। এই পরীক্ষায় শুধু যুক্তরাজ্যেই দশ হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে। তবে পরীক্ষাটি আরও কয়েকটি দেশে বিস্তৃত করা হয়েছে। কারণ যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ কমে আসাতে ভাইরাসটি সত্যিই কার্যকর কিনা তা জানা কঠিন। এই ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার, দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ হাজার ও ব্রাজিলে ৫ হাজার মানুষের দেহে পরীক্ষা চালানো হবে।

এছাড়া ভ্যাকসিনটির চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। এই পরীক্ষায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে করোনায় সংক্রমিত হন। তবে চিকিৎসা না থাকায় এমন পরীক্ষা নিয়ে নৈতিক উদ্বেগ রয়েছে।

-জেডসি