আজও শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধের চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে ৫ম দিনের মতো বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের জন্য সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করলেও মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না। নতুন বেতনের দাবি জানালেও উল্টো হুমকি-ধমকি দেয় তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার বেরন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ও শ্রমিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
পুলিশ জানায়, সকালে বেরন এলাকার শারমিন গ্রুপের এএম ডিজাইন কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে সড়কে বেরিয়ে আসেন। এ সময় শ্রমিকরা আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ এতে বাধা দেয়।
পরে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে শ্রমিক ও পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন জানান, শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায় আশুলিয়ার কাঠগড়া ও জামগড়াসহ বেশ কিছু এলাকার প্রায় ১০টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে সাভারের হেমায়েতপুর, কর্নপাড়া ও সাভার থানাস্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিজিবি তাদের গাড়ি নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টহল দিচ্ছে। শ্রমিক আন্দোলনের মুখে সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলোর সামনে বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মালিকপক্ষের আশ্বাসে কালশী, শেওড়াপাড়া এলাকার সড়ক ছাড়লেন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশের সহায়তায় শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের কথা হওয়ার পর অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা।
এর আগে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুরের কালশী, শেওড়াপাড়া এলাকার রাস্তায় অবস্থান নেন বেশ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই কালশী, শেওড়াপাড়ার মূল সড়কে কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রতিদিনের মতো শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে মালিকপক্ষ দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সরে যান।
জানা যায়, শ্রমিকরা ঘোষণা দিয়েছেন- আগামী শনিবার (১২ জানুয়ারি) থেকে তারা কাজে যোগদান করবেন।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইমরানুল হাসান প্রিন্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়েছেন- নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। অবরোধ তুলে নেয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
-জেডসি
- ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত
- বিনা অভিজ্ঞতায় ৩০ জনকে নিয়োগ দেবে নাসা গ্রুপ
- এই গরমে মুঠোফোন ঠান্ডা রাখতে করণীয়
- অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে ক্লাস দাবি
- কোন গাছ কখন কোথায় রোপণ করতে হয়
- পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশের সিনেমা
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
- ইরাকে নারী টিকটকারকে গুলি করে হত্যা
- ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাইকমিশনার সাইদা মুনা
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন
- নীলফামারীতে বাড়ছে চিনাবাদাম চাষ
- গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- সুলতান সুলেমানের প্রাসাদে ফারিণ
- বিনা অভিজ্ঞতায় ব্যাংকে চাকরি
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতৃত্বে সাজ্জাদ-মোশাররফ-শরীফ
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের