ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ১৬:৩০:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি, মাছ-মাংসে আগুন আরও ২ দিন দাবদাহের পূর্বাভাস আজ থেকে বাড়ছে ট্রেনভাড়া, দেখে নিন কোন রুটে কত ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০ আজ যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৩ বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

কচুরিপানা বদলে দিয়েছে জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০২:০২ এএম, ৮ জুন ২০১৮ শুক্রবার

একসময় কচুরিপানা সিদ্ধ করে খেতেন তারা৷ এখন এই কচুরিপানা দিয়ে কাগজ বানিয়ে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তৈরি করছেন৷ এটা তাদের জীবনে যেমন এনেছে উন্নতি, তেমনি তাদের সন্তানরাও হয়েছেন শিক্ষিত৷


বলছিলাম বরিশালের নারীদের কথা৷ প্রায় ২০ বছর ধরে সেখানকার কয়েকটি অঞ্চলের নারীরা কচুরিপানা থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ করছেন৷ তাদের এই পণ্যগুলো প্রায় ২০টি দেশে রফতানি হচ্ছে৷


শুরুতে ‘মেনোনাইট সেন্ট্রাল কমিটি` নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বরিশাল অঞ্চলের নারীদের উন্নয়নে কাজ শুরু করে৷ এখন সেই কাজটা এগিয়ে নিচ্ছে এমসিসির তৈরি সংস্থা ‘প্রকৃতি`৷


কথা হচ্ছিল প্রকৃতি-র ডিজাইনার সুরাইয়া চৌধুরীর সঙ্গে৷ তিনি জানান, প্রকৃতির নারীরা কচুরিপানা থেকে প্রথমে কাগজ তৈরি করে৷



একটা সময় উপমহাদেশের জলাশয়গুলোতে কচুরিপানার পরিমাণ এত বেড়ে গিয়েছিল যে ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে প্রায় সব দলের ইশতাহারে দেশকে কচুরিপানা মুক্ত করার অঙ্গীকার করা হয়েছিল৷ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক নির্বাচনে জয় লাভ করে ওয়াদা পূরণে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলে জানা যায়৷

 

এখনো বাংলাদেশের খালে-বিলে, পুকুরে, নদীতে প্রচুর কচুরিপানা দেখতে পাওয়া যায়৷ তবে বরিশালে গত প্রায় ২০ বছর ধরে কচুরিপানা থেকে প্রথমে কাগজ তৈরি করে পরে উপহার সামগ্রী সহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন নারীরা৷


পরে সেই কাগজ দিয়ে ছবির অ্যালবাম, নোটবুক, গহনা, ঝুড়ি, গিফট বক্স, গ্রিটিংস কার্ড, মালা ইত্যাদি তৈরি করা হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের ফেয়ার ট্রেড কোম্পানি ‘টেন থাউজেন্ড ভিলেজেস` প্রকৃতির তৈরি পণ্য সবচেয়ে বেশি কেনে৷ এছাড়া জাপানের ‘পিপল ট্রি লিমিটেড`, ইটালির ‘সিটিএম`সহ মোট ২০টি দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি হয় বলে জানান সুরাইয়া৷


তিনি বলেন, বরিশালের যেসব নারী এই কাজে যুক্ত তাদের জীবনে এসেছে বিশাল পরিবর্তন৷ আগে তারা কচুরিপানা সিদ্ধ করে খেতেন৷ এখন অনেকের সন্তান লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হয়েছে৷ প্রায় ৫০ শতাংশ নারীর সন্তান গ্রাজুয়েট৷ আর ছোট ছেলেমেয়েরা সবাই স্কুলে যাচ্ছে৷`

 

প্রকৃতি-র হয়ে যেসব নারী কাজ করেন তারা মাসে গড়ে প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা আয় করেন৷ এছাড়া বছর শেষে তারা লাভের অংশও পেয়ে থাকেন৷ এখন প্রায় এক হাজারেরও বেশি নারীর প্রকৃতির হয়ে কাজ করছেন বলে জানান সুরাইয়া৷


কচুরিপানাকে কাজে লাগানোর জন্য শুধু যে এলাকার নারীদের উন্নয়ন হচ্ছে তা নয়, এর মাধ্যমে পরিবেশও রক্ষা হচ্ছে৷ কারণ বরিশাল অঞ্চলে প্রচুর কচুরিপানার জন্য আগে লঞ্চ, নৌকা চলতে পারত না৷ তাছাড়া সেগুলো পোকামাকড়েরও আবাস হয়ে থাকত৷