ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৩:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

করোনার ভুয়া সনদ, সাহাবুদ্দিন মেডিকেলও বন্ধ করলো র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অনুমোদন না নিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার অভিযোগ পেয়ে ঢাকার গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও স্টোর কিপার শাহরিজ কবিরকে ধরে র‌্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ৯ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান র‌্যাবের পরিচালক। গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। এরপর হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে র‌্যাব। তবে, রোগী থাকার কারণে রাতে হাসপাতালটি সিলগালা করেনি। হাসপাতালটিতে যে সব রোগী আছেন, তারা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তারা চলে যাওয়ার পর সিলগালা করে দেওয়া হবে।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ‘অভিযানে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্টের রিপোর্ট তারা পেয়েছেন, যা বাংলাদেশে অনুমোদিত নয়।’ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাতকে গ্রেফতারের কথা জানিয়ে আশিক বিল্লাহ বলেন, আমরা হাসপাতালের অনিয়িমগুলো খতিয়ে দেখছি।

অভিযান শেষে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্টের অনুমতি পাওয়ার আগে থেকেই করোনা পরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হতো। কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য হাসপাতালটি অনুমোদন পেলেও এখানে সরকার নির্ধারিত মেশিন না থাকায় অনুমোদন বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অপরদিকে গত এক বছর আগেই হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এসব অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালটি সিলগালা করা হবে। সব অপরাধের দায়ে হাসপাতালের মালিক ও সংশ্লিষ্ট জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।

তিনি আরো বলেন, তাদের অন্যতম অপরাধ হলো কোভিড-১৯ নেগেটিভ রোগীদের পজিটিভ রিপোর্ট দিয়ে হাসপাতালের আইসিউতে এবং কেবিনে ভর্তি করেছে। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বিল বাবদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযানে আমরা দেখেছি একজন রোগী এখনও ভর্তি আছে। আগের দিন করোনা পজিটিভ দেখিয়ে ভর্তি করেছে পরের দিন তার নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু তাকে একদিন ভর্তি রেখে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। আমরা হাসপাতালের বেশকিছু বিলের কপি জব্দ করেছি। সেখানে দেখেছি, ২৪ জুন রোগী ভর্তি হয়েছে এবং ২৫ জুন ওই রোগী রিলিজ হয়েছে। কিন্তু একদিনে তার বিল করা হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার টাকা। পরে যাচাই করে দেখা গেছে, ওই রোগীর একই টেস্টের বিল তিনবার ধরা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে যেসব রোগী আছে তাদের মধ্যে কার করোনা পজিটিভ আর কার নেগেটিভ তা নিশ্চিত নয়। কারণ হাসপাতালটি ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করছে।

এছাড়া হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটার থেকে আমরা বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী পেয়েছি। হাসপাতালের মেডিসিন স্টোরে আমরা কিছু নিষিদ্ধ ওষুধ পেয়েছি, যা বিক্রি বা মজুত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এমন নানা অভিযোগের কারণে হাসপাতালের সহকারী পরিচালককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অননুমোদিত ওষুধ মজুদের দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এসব অপরাধ খুব মারাত্মক ও গুরুতর। এর জন্য তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের দুই বছরের বেশি শাস্তি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

-জেডসি