ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৭:৩৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

করোনায় কর্মহীন দিনমজুরদের পাশে সংস্কৃতিকর্মী শিউলি

মনির হোসেন জীবন | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ৭ জুন ২০২০ রবিবার

করোনায় কর্মহীন দিনমজুরদের পাশে সংস্কৃতিকর্মী শিউলি

করোনায় কর্মহীন দিনমজুরদের পাশে সংস্কৃতিকর্মী শিউলি

রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় বসবাস করেন সংস্কৃতিকর্মী ইসরাত শিউলি। তার বাসার আশেপাশেই থাকেন কিছু দিনমজুর। তাদের কেউ রিকশা চালান, কেউ ভ্যানচালক আবার কেউ বা করে রাজ মিস্ত্রির কাজ করেন। সাধারণ ছুটির পর থেকেই তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। অনেকই সেই সময়টাতে কাজ করতে গিয়ে পুলিশের মার খেয়ে ফিরেছেন, আর কারো কারো দিন কাটছিল অনাহারে। যেখান থেকে ১০০ পরিবারের ৩২০ জন মানুষের প্রতিদিন একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে, দিন এনে দিন খাওয়া কিছু মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সাধারণ ছুটি শুরুর পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের সদস্য ইসরাত শিউলি। উদ্যোগ নিয়েছেন যৌথ রান্না ঘরের। যেখান থেকে ওই সব মানুষদের এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেন। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি নিজ হাতে সবজি চাষ করছেন, দিনমজুর সেই মানুষগুলোকে সঙ্গে নিয়েই।

এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি তাদের কাছে। এমন পরিস্থিতিতে শিউলির মনে হয়েছিল, তাদের জন্য কিছু করা উচিত। যেই ভাবনা, সেই কাজ। প্রথমে ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি কিছু সহায়তা করলেন তাদের। পরে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলেন বিষয়টি নিয়ে। পরামর্শ এলো, সবাইকে একবেলা রান্না করে খাওয়ানোর আর পড়ে থাকা ফাঁকা প্লটগুলোতে সবজি চাষ করার। যৌথ রান্না ঘরে তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হলো। যেখান থেকে ১০০ পরিবারের ৩২০ জন মানুষের প্রতিদিন একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। আর প্লট মালিকদের অনুমতি নিয়েই সেখানে শুরু হলো শাক-সবজির চাষ। শিউলির সাথে যার পরিচর্যা করছেন সেই খেটে খাওয়া দুস্থ মানুষগুলো। বিষয়টি তার সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করলে সেখান থেকেও আসে সহযোগিতার হাত। আর সেই কারণেই তিনি এ উদ্যোগের নাম দিয়েছেন ‘সমগীত যৌথ রান্নাঘর’ এবং ‘সমগীত যৌথ ক্ষেত-খামার’।

এদিকে 'শাকের বিনিময়ে মাছ চাই' শিরোনামে সম্প্রতি ইসরাত শিউলি তার ফেসবুকের ওয়ালে পোস্ট দেন। মূলত সমগীত যৌথ ক্ষেত-খামারে উৎপাদিত শাক-সবজির বিনিময়ে মাছ চেয়েই তার এ পোস্ট।

এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদিন তো অনাহারিদের মাছ-মাংস খাওয়াতে পারি না। তাই যদি তাদের চাষ করা শাক-সবজির বিনিময়ে মাছ কেনার টাকা পাওয়া যায়, তাতে হয়তো তাদের মাছ-মাংস খাওয়ার সুযোগটা হবে। সাধারণত ওই শাক-সবজি বাজারে বিক্রি করলে এতোজন মানুষের মাছ খাওয়ার টাকা হবে না। তাই যদি কেউ এর বিনিময়ে মানবিক দিক থেকে তাদের সহযোগিতা করেন, সেই লক্ষ্যেই পোস্টটি দেওয়া। এ উদ্যোগ দু’টি সক্ষমতা অনুযায়ী যতদিন সম্ভব, ততদিন পরিচালনার ইচ্ছে আছে।

মানবিক এ ভিন্নরকম উদ্যোগের বিষয়ে সংস্কৃতিকর্মী ইসরাত শিউলি গণমাধ্যমকে বলেন, অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করতে সব সময়ই ভালো লাগে। আগেও করেছি, কিন্তু তা এমন আয়োজন করে নয়। মূলত যৌথ রান্নাঘর, যৌথ খামার, কমিউনিটি বেইজড ভাবনা ছাত্রাবস্থা থেকেই ছিল। তখন আমরা ছাত্র রাজনীতির সাথেও যুক্ত ছিলাম।

]তিনি আরও বলেন, দীর্ঘসময় পরে হলেও ক্ষুদ্র আকারে সেসব ভাবনাই বাস্তবায়িত হলো। যা অনেক পুরনো স্বপ্ন। এ উদ্যোগ দু’টি সক্ষমতা অনুযায়ী যতদিন সম্ভব, ততদিন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমাদের।