ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৬:১৬:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

খাদে ভরা শহরে মিশেছে নতুন জল ও অন্যান্য কবিতা

সাবরিনা চৌধুরী | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২১ রবিবার

কবি সাবরিনা চৌধুরী

কবি সাবরিনা চৌধুরী

ক] খাদে ভরা শহরে মিশেছে নতুন জল

খাদে ভরা শহরে

মিশেছে নতুন জল,

মুখোশের মুখগুলো

ভালো আছে মনে হয়।

বেহিসেবের কড়াকড়িতে

বাড়ন্ত ডাস্টবিন,

ঠগিদের চোখে ঝুলে

মোটা গ্লাসের দূরবীণ।

তরুণীর ধর্ষিত বুক

নিরুত্তাপ চিবুক

একটা অশ্রাব্য হর্ণ,

আর কিছু অর্থহীন চিৎকার

পুরে খায় দুপুরের কড়া রোদ।

নিয়মের পাটাতনে

অবহেলা জাল বুনে।

কে বা কারা যেনো

খুবলে খায়

নরম যৌবন, তুলতুলে ঘ্রাণ।

উন্নয়নের মাঠ খেয়ে পুষ্ট হয়

কিছু অজাতের ধন।

ওদের কোন মুখ নেই

চোখে কেবল দুঃশাসনের ভর।

দু' ধারি তলোয়ারের আঘাতে

ওদের মণ্ডু কাটা পরে না।

খুব আয়েশে বেঁচে থাকে

অশনাক্ত লোলুপ জিহবা,

টিকে থাকে অদৃশ্য মন্ত্রপাতে।

ওরা চেটেপুটে খায় নারীর সম্ভ্রম

নেতৃত্ত্বের মক্ষীচোখ,

ওদের মোচ্ছবে দর্শক হয়

কিছু বিকলাঙ্গ ভ্রষ্ট মগজ।

 

খ] সমুদ্র হবো

সমুদ্র হবো ভেবে একদিন

ঘর ছেড়ে, পথ হয়েছিলাম।

পথের শেষ দেখবো বলে

হয়ে উঠলাম নবীন পথিক।

কিন্তু দেখা হলো না,

সমৃদ্ধ সভ্যতা, উর্বর মেঘ।

দেখলাম কেবল নীল দংশনে

অস্তিত্বের সংকট।

যাপিত জীবনের

অনন্য কৃতদাসী,

গুমরে- দুমরে দুলে ওঠে

মৃত্যুর মতো,

তার সীমাহীন অন্ধস্বপ্ন

মেকী শিল্পের প্রলেপে

আপাতমস্তক

বিস্ফোরিত।

 

গ] পরাস্ত ট্রিগার

তবে তাই হোক যা কখনো হয় নি আগে,

ভিজে যাক সব কথার কলিরা,

না হয় ভেসে যাক কোন নদীর বানে,

না হোক দেখা সংগোপনে,

কিংবা ঝড়ের আহবানে

আমিও জমিন রেখেছি পেতে,

ভুবনের হয়ে ছুটবে বিদিক,

বাজবে তারা আপন ঢঙে,

শূন্য করে এদিক ওদিক।

রাস্তার ধারে বাতির ঝারে

অন্ধকারে ভিজিয়ে দু'চোখ,

খুঁজবো না হয় একের অধিক।

দিনের শেষে যে আলোটা,

পরাস্ত হবে রূপোলি খাঁচায়,

সেখানে দেবো সূর্যের স্বান্তনা,

অদেখা চোখের পরাবর্তে,

স্বপ্নজীবীর পালক পোড়ে,

ট্রিগার চেপে উড়িয়ে দেবো,

আমিও না হয় ভাববো না।

 

ঘ] অস্পৃশ্য অডিটেরিয়াম

পলাতক নগরীর

ঘুমোট সাজে

সৌজন্যা.....

তোমার আধা-জাগরিত

নূপুর নাচে,

দু' চোখের চক্রাকার

মলিনতায়

অজান্তে

ঝমঝম করে বড় হয়

নোনাভ হলুদ নদী।

টর্চের খোলা আলোর

মরা রঙে

থইথই করে

অন্ধকার হাটে।

তোমাকে যেমন করে

দুঃখিত করতে চেয়েছিল

কায়াহীন ঈশ্বর,

ঠিক তার চেয়েও বড় হচ্ছে

তোমার সয্যের

সহজাত বিকেল।

ইট-কাঠ আর

ইস্পাতের গায়ে,

রেখে যাওয়া

বিগত অশ্রুবিতানে,

গড়ে তুলছো

নতুন নতুন সমাধিস্তম্ভের

অস্পৃশ্য অডিটেরিয়াম।

---------0---------