ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৫০:৫৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

খুব মনে পড়ছে দাদাভাইকে: জসীম মেহবুব

জসীম মেহবুব | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫৮ এএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার

রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই

রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই

কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, কচি-কাঁচার আসরের পরিচালক, বিশিষ্ট শিশু-কিশোর সংগঠক, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৩ ডিসেম্বর। খুব মনে পড়ছে দাদাভাইকে। প্রবাদপ্রতিম, এক কিংবদন্তি মানুষ ছিলেন দাদাভাই। এ দেশের শিশু-কিশোরদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাঁর ভুমিকা ছিল আমৃত্যু। যার অন্তত একটি ছড়া দাদাভাইয়ের হাত হয়ে কচি-কাঁচার আসরের ছাপা হয়েছে, তিনি গর্ব করে বলতে পারেন- 'দাদাভাই আমার ছড়া ছেপেছেন'। বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যিক তৈরিতে তাঁর ভুমিকা ছিল অনন্য।
আমরা চট্টগ্রামের লেখকরা শিশুসাহিত্যের কোন অনুষ্ঠানে ঢাকায় গেলে আমাদের প্রতি তাঁর মমত্ম, স্নেহ-ভালোবাসা ভুলবার নয়। প্রত্যেকের নাম ধরে ধরে খোঁজ খবর নিতেন দাদাভাই। আমার প্রথম ছড়াগ্রন্থ 'সোনার বরণ পক্ষী'র প্রায় সবগুলো ছড়াই দাদাভাইয়ের হাত হয়ে কচি-কাঁচার আসরে ছাপা হয়েছে। 
আজ দাদা ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর কথা লিখতে গিয়ে বুকটা ভারী হয়ে আসছে। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরের ১ তারিখ তিনি ঢাকাস্থ একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন । আমি তখন ঢাকায়। জানতাম দাদাভাই অসুস্থ। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারনে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যেতে পারি নি। কাজ সেরে আমি চট্টগ্রাম চলে আসি। চট্টগ্রাম আসার পর খবর পাই দাদাভাই চিরদিনের মত আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমার বুকটা কেঁপে উঠলো। কান্না চেপে রাখতে পারছিলাম না। এই দুঃখবোধ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাকে তাড়া করবে। 
দাদাভাই কি আমাকে ক্ষমা করবেন? দাদাভাই, নগণ্য একজন লেখক হিসেবে আমি আপনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাইছি। আমাকে ক্ষমা করবেন। মহান আল্লাহ আপনাকে বেহেস্ত নছিব করুক। এই কামনা করছি।

দাদাভাইকে নিয়ে আমার লেখা একটি ছড়া-
‘মস্ত কারিগর’
'খোকন খোকন ডাক পাড়ি' আর
'হাটটিমা টিম টিম',
ডিডিঙ ডিডিঙ লাফিয়ে ওরা
মাঠে পাড়ে ডিম।
সে ডিম ফুটে বেরোয় ছড়া
নানান রকম রূপ,
তাইনা দেখে ছড়ার রাজা
এক্কেবারে চুপ।
কচিকাঁচার মেলায় ছিলেন
মস্ত কারিগর,
লক্ষ শিশু-কিশোর নিয়ে
ছিলেন জনমভর।
মানুষ গড়ার সেই কারিগর
হারিয়ে গেল কই ?
আমরা তাঁকে খুঁজে ফিরি 
ক্লান্ত হবার নই।
আছেন তিনি সকল শিশুর 
সারা হৃদয় জুড়ে,
মিশে আছেন সবার মাঝে
থাকুক যত দূরে।

জসীম মেহবুব: বিশিষ্ট ছড়ালেখক ও শিশু সাহিত্যিক।