ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৩:৪৪:৩২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে ম-ম ঘ্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। চারদিকে ছড়িয়ে পড়া মুকুলের ঘ্রাণ প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। পাশাপাশি জানান দিচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা।

এমনই দৃশ্যের দেখা মিলেছে ফরিদপুরের প্রতিটি গ্রামে। দৃশ্যটি যে কাউকেই কাছে টানবে। দুরন্ত শৈশবে কাঁচা-পাকা আম পাড়ার আনন্দ অনেকেরই স্মৃতিতে চির অমর।

জেলার প্রায় সব এলাকায় মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ। এবার মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আমবাগান। বাগানগুলোতে রয়েছে আম্রপালি, লেংড়া, হাঁড়িভাঙা, বারি-৪, বারি-৫, বারি-২ জাতের গাছ। তবে ছোট আকারের চেয়ে বড় ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল এসেছে।

জেলার সালথা উপজেলার কৃষক রহিম মাতুব্বর জানান, আমগাছে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আমগাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তারা আমের বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।

আমচাষি ইব্রাহিম শেখ বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমগাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করছি। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও বাগানে এসে ভালো ফলন পাওয়ার দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বছরজুড়ে নিয়মিত পরিচর্যা, গাছের গোড়ায় বাঁধ দিয়ে পানি সেচের ফলে গাছ নিয়মিত খাদ্য পাচ্ছে। এতে পরিশ্রমের ফলও মিলছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বেশি আমের মুকুল দেখা দিয়েছে। চাষিদের বলা হয়েছে ফুল ফোটা অবস্থায় কোনো ওষুধ বা কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য। পোকা খুব বেশি দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক ছিটানোর জন্য বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মৌসুমে জেলায় কয়েক হাজার টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় প্রতিবছর আমগাছের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন বলেন, ফরিদপুরে মোট ২ হাজার ৪৫২ হেক্টর আমের বাগান রয়েছে। যার অধিকাংশ বাগানে মুকুল দেখা দিয়েছে। এছাড়া, এ বছর ২৪ হাজার ৩৫৭ মেট্টিক টন আমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে ম-ম ঘ্রাণ