ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৭:১৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

চাকসু নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে অনাবাসিক ও নারী শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে নেই ক্লাশ পরীক্ষা। অনেকেই গিয়েছেন বাড়িতে। তবে বন্ধের সময় নানা পন্থায় প্রচার-প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন প্রার্থীরা।

আবাসিক হল, কটেজ, মেসগুলোতে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়া শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অনলাইনেও চলছে জোর প্রচার-প্রচারণা। তবে নির্বাচনে অনাবাসিক ও নারী শিক্ষার্থীদের ভোট প্রভাবক হবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী চাকসু নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৮ জন। যেখানে নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। অন্যদিকে চবিতে আবাসন ব্যবস্থা আছে ৬ হাজার ৩২৮ জনের। ছেলেদের হলে আছে ৩ হাজার ৬৮৭টি আসন, মেয়েদের হলে আছে ২ হাজার ৬৪১টি আসন। সে হিসাবে মাত্র ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক। বাকি ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই অনাবাসিক। অনাবাসিক ও নারী ভোটারদের কাছে পৌঁছার ক্ষেত্রে বেগ পেতে হচ্ছে প্রার্থীদের।

জানতে চাইলে চাকসুতে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদের প্রার্থী জামাল নাসের বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক না হওয়ায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী শহরে বা হলের বাইরে থাকেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শিক্ষার্থী রয়েছেন। আমরা বেশির ভাগ ভোটারের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। আমার মনে হয় নির্বাচনে এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অনেকেই এতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

নারী প্রার্থীদের সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

চাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিং ও স্লাট-শেমিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে চাকসু নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন চাকসু নির্বাচনে সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত ও নির্বাহী সদস্য জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা।

অভিযোগপত্রের সঙ্গে দেওয়া সংযুক্তিতে দেখা যায়, শরিফ মোহাম্মদ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়েছে- ‘এই দিকে আমি আপুর উপ্রে ক্রাশ খেয়ে বসে আছি, হায় আল্লা খালেদ, ক্রাশ খাওয়া রোগে ধরসে আমারে। দুই দিন পরপর এর ওর উপর ক্রাশ খাচ্ছি।’

মেহেদী হাসান শরিফ নামে আরেকটি আইডি থেকে কমেন্ট করা হয়েছে- ‘ভিডিও সার্ভিস দিতাছে শুনলাম’। রোহান খান নামে অন্য একটি আইডি থেকে কমেন্ট করা হয়েছে, ‘শিবিরের প্রিয় দাসী।’ গল্প জীবনের আইডি থেকে মন্তব্য লেখা হয়েছে, ‘জাহান্নামী খুর, শিবিরের যৌন সাথী।’

লিখিত অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগীরা লিখেছেন, আসন্ন চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বিভিন্ন ‘বট আইডি’, ভুয়া ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে নানাবিধ মানহানিকর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষত সাইবার বুলিং, স্লাটশেমিং, ট্যাগিং ও ভুয়া ফ্রেমিংয়ের মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানসিক সুস্থতার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তারা আরও বলেন, এই অমানবিক ও অনৈতিক কার্যক্রম কেবল নারী শিক্ষার্থীদের সম্মানহানিই ঘটাচ্ছে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশকে কলুষিত করছে। অতএব, বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে সোমবার অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলকে নিয়ে গুজব, ট্যাগিং এবং নারী প্রার্থীদের নিয়ে বুলিং করার বিষয়ে প্রশাসনকে অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ইয়াছিন উদ্দিন সাকিব।

এজিএস প্রার্থী ফয়সাল আহম্মেদের ইশতেহার ঘোষণা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে এজিএস প্রার্থী মো. ফয়সাল আহম্মেদ ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ‘স্টুডেন্টস রিপ্রেজেন্টেশন’ নামে এক দফা ইশতেহারসহ ৭ দফা কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

সোমবার দুপুর আড়াই টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইশতেহার ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ৭ দফা কর্ম-পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো- এডমিনিস্ট্রেটিভ ডিজিটালাইজেশন, চাকসু নিয়মিতকরণে আইনি বিধি প্রণয়ন করা, নারী শিক্ষার্থীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠা, স্যানেটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন, টিচিং এসিস্ট্যান্ট সিস্টেম চালুকরণ এবং টিচিং ইভালুয়েশন সিস্টেম চালুকরণ।