ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৬:১৪:৪৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

নাইজেরিয়ায় একরাতে অপহৃত ৩ শতাধিক স্কুলছাত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৩ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার একটি স্কুল থেকে তিন শতাধিক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা। পুলিশের ধারণা, শুক্রবার রাতে জামফারা রাজ্যের জাঙ্গেবে শহরের ওই বোর্ডিং স্কুল থেকে মেয়েদের অপহরণ করার পরে বন্দুকধারীরা তাদের একটি বনে নিয়ে গিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটি কোনো স্কুল থেকে গণঅপহরণের সবচেয়ে বড় ঘটনা। সশস্ত্র দলগুলো প্রায়ই মুক্তিপণের জন্য স্কুলছাত্রীদের আটক করে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি এই অপহরণের ঘটনাকে ‘অমানবিক এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ডাকাতরা বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণের আশায় নিরীহ স্কুল শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চাচ্ছে। তাদের বলতে চাই এই প্রশাসনকে ব্ল্যাকমেইল করে দমিয়ে রাখা যাবে না।

আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য জিম্মিদের জীবিত অবস্থায়, কোনো ক্ষতি হতে না দিয়ে, নিরাপদে উদ্ধার করা।

বুহারি বলেন, কর্তৃপক্ষ ওই দস্যুদের বিরুদ্ধে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করতে পারলেও আশঙ্কা আছে যে তারা স্কুলছাত্রীদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।

এর আগে গত সপ্তাহে প্রতিবেশী নাইজার রাজ্যের কাগারা থেকে ২৭ শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৪২ জন অপহৃত হন। যাদের আজ পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।

২০১৪ সালে উগ্র সংগঠন বোকো হারাম উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর চিবক থেকে ২৭৬ জন স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে। যে ঘটনা সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল।

তবে সবশেষ এই অপহরণের ঘটনাটি কোনো সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

কীভাবে আক্রমণ চালানো হলো?

শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। একদল বন্দুকধারী পিক-আপ ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে জাঙ্গেবে শহরের সরকারী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, ছাত্রীদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। স্কুলটির একজন শিক্ষক সংবাদমাধ্যম 'পাঞ্চ'কে এ তথ্য জানান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীদের মধ্যে কয়েকজন সরকারী সুরক্ষা বাহিনীর পোশাক পরে ছিল এবং তারা স্কুলছাত্রীদের জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যায়।

তবে অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন যে সশস্ত্র বাহিনী কোনো গাড়ি করে নয়, বরং পায়ে হেঁটে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি হাউসাকে জানিয়েছেন যে শতাধিক বন্দুকধারী এই স্কুলে প্রবেশ করেছিল।

‘তারা স্কুলের গেটটি ভেঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীর ওপর গুলি চালায়। তারপরে তারা হোস্টেলে প্রবেশ করে এবং নামাজের সময় হয়েছে বলে মেয়েদের জাগিয়ে তোলে। সব মেয়েদের জড়ো করার পরে অস্ত্রধারীরা তাদেরকে নিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায়। এ সময় মেয়েগুলো ভীষণ কাঁদছিল। জঙ্গলের দিকে যাওয়ার সময় ফাঁকা গুলি ছুড়ছিল অস্ত্রধারীরা,’ জানান ওই প্রত্যক্ষদর্শী।

পরে অপহৃত ছাত্রীদের মা-বাবা পাগলপ্রায় হয়ে স্কুলের বাইরে জড়ো হন এবং কেউ কেউ তাদের মেয়েদের খোঁজ করতে ঝোপের ভেতরে ঢুকে পড়েন, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

বিবিসিকে স্কুলটির এক শিক্ষক জানান যে এই সময়ে বিদ্যালয়ের ৪২১ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মধ্যে কেবল ৫৫ জনের খোঁজ মিলেছে।

জাতিসঙ্ঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে যে, নাইজেরিয়ায় আবারো ছাত্রীদের গণ অপহরণের ঘটনায় তারা একইসাথে ক্ষুব্ধ ও শোকগ্রস্ত। এই ঘটনাকে তারা ‘পাশবিক এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

তবে কোন দল বা গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি।

জামফারায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে থাকে। তবে বন্দুকধারীরা যখন গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিবেশী ক্যাটসিনা রাজ্যের কানকারা থেকে ৩০০ জনেরও বেশি ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়, কিছু রিপোর্ট দাবি করেছিল এর পেছনে বোকো হারাম দায়ী।

যদিও বোকো হারাম উত্তর-পূর্বের কয়েক শ’ মাইল দূরের একটি উগ্রবাদী সংগঠন।

আসলে ওই ঘটনায় কারা জড়িত ছিল, সেটা নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। পরে ওই ছেলেদের আলোচনার ভিত্তিতে ছেড়ে দেয়া হয়। সূত্র : বিবিসি

-জেডসি