ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১২:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাইকারি বাজারে দর নির্ধারণ না করায় চালের বাজার এখনও অস্থির। এর প্রভাবে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম। চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে উচ্চ দামে। ফলে এসব কিনতে ভোক্তার নাভিশ্বাস বাড়ছে। এছা্ড়া, ভারতের বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার পরও পণ্যটির দাম কমছে না। তবে গত এক সপ্তাহে দাম নতুন করে না বাড়লেও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল ছিল পেঁয়াজের বাজার।

মিলারদের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরও খুচরা বাজারে বেড়ে যাওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডাল ও ভোজ্যতেল। সঙ্গে সব ধরনের সবজি বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, এদিন রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ ধরে একই দামে বিক্রি হয়েছে নিত্যপণ্যটি। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকা। যা সাত দিন ধরে একই দামে বিক্রি হয়েছে।

বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৫৬-৫৮ টাকা। যা গত মাসের মাঝামাঝি ছিল ৫৪-৫৫ টাকা। বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। যা গত মাসের মাঝামাঝি ছিল ৪৬-৪৭ টাকা।

মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৬-৪৭ টাকা। যা গত মাসে ছিল ৪৫-৪৬ টাকা। এছাড়া মসুরের ডাল (মোটা) প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা। যা সাত দিন আগে ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৯২-৯৩ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৮৭-৮৮ টাকা। প্রতি লিটার পাম অয়েল (লুজ) বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৪ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫-৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম অয়েল সুপার প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ৮৪-৯০ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৮০-৮৪ টাকা।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. আয়নাল হোসেন বলেন, গত মাস থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৪০-৫০ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। চাল, ডাল ও তেলের দামও বাড়তি। বাজারে দাম বেড়েছে কিন্তু আয় কোনোভাবে বাড়েনি। ব্যয় করতে হচ্ছে বেশি। এভাবে আর কতদিন চলতে পারব জানি না। তবে আয়ের সঙ্গে ব্যয় মিল রাখতে বাজার থেকে পণ্য কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি। তার অভিযোগ বাজারে সব ধরনের পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত। কিন্তু কারসাজি করে বিক্রেতারা বেশি দরে বিক্রি করছে। দেখার যেন কেউ নেই।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দিদার হোসেন বলেন, সবাই যখন পেঁয়াজের দামে অতিষ্ঠ, ঠিক তখন মিলারদের সিন্ডিকেট নীরবে চালের দাম বাড়িয়েছে। যে কারণে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

নয়াবাজারে মুদি দোকানি মো. তুহিন বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের তেলের দাম বেড়েছে। যে কারণে বেশি দরে এনে বেশি দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

আমদানিকারকরা বলছে- আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। তবে বর্তমানে আমদানিকারকদের যে তেল আনা আছে, তা আগের আনা। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও এখনই দেশের পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কথা নয়। এটা তাদের কারসাজি।

এছাড়া এ দিন প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকায়। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা।

পাকা টমেটো প্রতি কেজি ১২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা, আলু ৪০-৪২ টাকা, গাজর ৮০-১০০ টাকা, উস্তা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পটোল ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা।

-জেডসি