ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:২১:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

ফুলঝাড়ু শিল্পে স্বচ্ছলতা দেখছেন চরের নারীরা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে ফুলঝাড়ু (উলুফুল) এর জুড়ি নেই। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহর বন্দরের প্রায় প্রতিটি ঘরেই রয়েছে ঝাড়ুর কদর। পাহাড়ী অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো এ ফুল থেকে তৈরি করা ঝাড়ু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় নেয়া হচ্ছে। আর এ ফুলঝাড়ু বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন এলাকার মানুষেরা।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার যমুনা তীরবর্তী এলাকার মানুষের স্বচ্ছলতা ফিরছে ফুলঝাড়ু শিল্পে। যমুনার প্রবল ভাঙ্গনে দুর্গাপুর ও গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের নদী পাড়ের বাসিন্দারা প্রতি বছরই বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসব এলাকার মানুষেরা বছরের অর্ধেকটা সময় কর্মহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ফুলঝাড়ু তৈরির কারখানা সৃষ্টি করায় এ অঞ্চলের নিন্ম আয়ের মানুষের মধ্যে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

সরেজমিনে এসব এলাকায় দেখা যায়, ছোট আকারের প্রায় ৫০টি কারখানা গড়ে ওঠেছে। আর এসব ঝাড়ু শিল্পের বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় ৫-৬শ’ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের জোগাড় হয়েছে। 

এসব শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানান, প্রায় ১০-১২ বছর আগে পটল বাজার এলাকার নজরুল ইসলাম নুরু, আব্দুল  হাই, সোলেমান ও মাজেদ মিলে চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি এলাকা থেকে স্বল্প পরিসরে উলুফুল (ফুলঝাড়ুর ফুল) এনে স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে বাঁধাই করে ঢাকায় হকারদের মাধ্যমে বিক্রি করেন। ব্যবসাটি লাভজনক হওয়ায় তারা ব্যবসার প্রসার ঘটান। এছাড়া শ্রমিকারও উৎপাদনের ভিত্তিতে এসব কারখানায় কাজ করে প্রতিদিন ৪-৫শ’ টাকা উপার্জন করে। আর তাদের উপার্জিত টাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা সাচ্ছন্দেই আছেন বলে জানান, পটল বাজারের শ্রমিক সেলিম, সুজন, পারভেজ, বাছেদ, সাইফুলসহ অনেকেই। 

পুরুষ শ্রমিকরা উলুফুল ও পাটখড়ির সাথে গুনা দিয়ে বেঁধে সুন্দর মোঠা (আটি) তৈরি করে। পরে ওই বাঁধাই করা মোঠাগুলোতে কস্টেপ অথবা পিভিসি পাইপ লাগিয়ে নারী শ্রমিকরা বাজারজাত করার উপযোগী করে তোলে। এসব কারখানাগুলো মুলতঃ কালিহাতী উপজেলার মগড়া বাজার, পটল বাজার, দূর্গাপুর, কদিমহামজানী, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়, শ্যামশৈল, কুর্ষাবেনু ও পাথরঘাট এলাকায় গড়ে ওঠেছে। 

পটল বাজারের ফুলঝাড়ু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নুরু জানান, একসময় এ ব্যাবসার সুদিন থাকলেও এখন কোন শান্তি নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি এলাকা থেকে এসব উলুফুল কিনে আনেন। আনতে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয় বলে খরচ বৃদ্ধি পায়। তাই এখন তিনি নিজের বাড়িতেই ৩০ শতাংশ ভূমিতে উলুফুল চাষ শুরু করেছেন। যাতে এসব এলাকার উৎপাদিত উলুফুল দিয়েই কারখানাগুলো সচল রাখা যায়। এ শিল্পে নদী তীরবর্তী প্রায় ১ হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত।

দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, চরাঞ্চলে ফুলঝাড়ু কারখানা সৃষ্টি হওয়ায় যমুনার ভাঙন কবলিত এলাকার কর্মহীন মানুষের মধ্যে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। এসব ক্ষুদ্র শিল্প টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।