ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:২৩:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পূর্বাচল ৩০০ ফিটে নেতাকর্মীদের ঢল মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত পোস্টাল ভোটে নিবন্ধনের সময় বাড়লো হাদি হত্যায় মোটরসাইকেল চালকের সহযোগী গ্রেপ্তার ইন্টারনেট শাটডাউন চিরতরে নিষিদ্ধ করল সরকার

বাংলাদেশসহ ৯৫ দেশকে করোনার ওষুধ তৈরির অনুমতি দেবে ফাইজার

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৫১ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০২১ বুধবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশসহ ৯৫টি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশকে নিজেদের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি দেবে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার। 

মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আন্তর্জাতিক পাবলিক হেলথ গ্রুপ মেডিসিনস প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে এই অনুমোদন দেওয়া হবে। আর এমপিপি পুলের সঙ্গে ফাইজারের চুক্তি অনুসারে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে করোনার ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি পাবে বাংলাদেশও।

ফাইজার এবং এমপিপির মধ্যে স্বাক্ষরিত ভলান্টারি লাইসেন্সিং চুক্তির আওতায় ওষুধ উৎপাদকরা সাব-লাইসেন্স নিয়ে পিএফ-০৭৩২১৩৩২ এর নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করতে পারবে। এসব ওষুধ ফাইজার তাদের ব্র্যান্ড নাম প্যাক্সোলোভিড নামে বিক্রি করবে। মেডিকেল দাতব্য প্রতিষ্ঠান মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) বলেছে এই চুক্তিতে তারা আশাহত। তারা বলছে, এই চুক্তিতে আর্জেন্টিনা এবং চীনের মতো প্রতিষ্ঠিত উৎপাদনক্ষম দেশগুলো এ ওষুধ উৎপাদনের সুযোগ পাবে না।

এমএসএফ’র সিনিয়র আইনি নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইয়ানকুন হু বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন জানে যে, আমরা যদি সত্যিই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই তবে সব জায়গায়, সবার জন্য কোভিড-১৯ চিকিৎসার সামগ্রী পাওয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
 
ফাইজারের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের তৈরি করোনার ওষুধের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় প্রাপ্তবয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হার ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ওষুধটি রিটোনাভিরের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। এইচআইভি চিকিৎসায় ইতোমধ্যে ব্যবহার হয়ে আসছে রিটোনাভির।

চুক্তির আওতায় থাকা ৯৫টি দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে সব নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ রয়েছে। এ ছাড়া সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলের কিছু উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশও রয়েছে।

ফাইজারের তৈরি করোনার ওষুধের চাহিদা হবে বেশি। কোম্পানিটি বলছে, আগামী মাসের শেষ নাগাদ তারা এক লাখ ৮০ হাজার কোর্স ওষুধ তৈরি করতে পারবে। আর ২০২২ সাল নাগাদ অন্তত ৫ কোটি কোর্স ওষুধ তৈরি করা যাবে।