ঢাকা, শুক্রবার ২৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৮:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার বার্তা তারেক রহমানের কোথায়, কোন কর্মসূচি গণভোটের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালাবে সরকার কারাবন্দিদের ভোট দেওয়ার নির্দেশিকা জারি ইসির পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র অধরা নির্বাচন ঘিরে আতঙ্ক

‘দেশে এই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারী নির্যাতিত হলো’

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১০:০৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

বাংলাদেশে এই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারী নির্যাতিত হলো, বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ।

রোববার অপরাজেয় বাংলার সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত মানবন্ধনে সংহতি জানিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সৈয়দ আবুল মাকসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যক্তি দ্বারা নারী নির্যাতিত হচ্ছে, বাংলাদেশে এই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারী নির্যাতিত হলো। সেটি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ভূখণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। এটা আমাদের সকলের জন্য লজ্জা। আমি এটা দাবি জানাব প্রাতিষ্ঠানিক নারী নির্যাতন যেন এটাই শেষ ঘটনা হয়।  দ্বিতীয় বার যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’

অধ্যাপক তাসনিম সিরাজ মাহমুদ বলেন, ‘একজন শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের সন্তানতুল্য মনে না করে তাহলে তার শিক্ষকতা জীবন ব্যর্থ। আমাদের দায়িত্ব শুধু তাদের ক্লাস নেওয়া নয়। তাদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। যে শিক্ষকরা প্রশাসনে আছেন তাদের বলব, আগে শিক্ষক হোন তারপরে প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করুন।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ রঙের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য এখানে দাঁড়াই নাই। আমরা সাধারণ ছাত্র,শিক্ষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি। যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র দায়ী। আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া পুলিশ ঢুকতে পারে না।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যারা রয়েছেন তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। আমরা হলে হলে দেখতে পাই সেখানে সামন্ত প্রভুর কতৃত্ব কায়েম হয়েছে। কিন্তু সেই হলের প্রোভোস্ট সেই হলের হাউজ টিউটরের দায়িত্ব ছিল এই ধরনের কার্যক্রম থেকে তাদের বিরত রাখা। কিন্তু তারা দলের স্বার্থ দেখবেন নাকি ছাত্রদের স্বার্থ দেখবেন, এই দুয়ে দোদুল্যমান রয়েছেন।’

এম এম আকাশ আরও বলেন, ‘আমরা দেখলাম হঠাৎ করে সুফিয়া কামাল হলে ইফফাতকে বহিষ্কার করা হল। আমরা দেখলাম উপাচার্য ঘোষণা করলেন তাকে আমরা বহিষ্কার করালাম আবার আমরা দেখতে পেলাম উপাচার্য বলছেন তাকে আমারা গ্রহণ করলাম।

তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে কয়েকটি মেয়েকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হল। আমাদের বাংলাদেশে কোন মূল্যবোধ পারমিট করে না রাত ১টা ২টায় কোনো মেয়েকে হল থেকে বের করে দেব। প্রশাসন সেই মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হারানো গৌরব যদি ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে দুটি বিষয় অবশ্যম্ভাবী। প্রথম দাবি হচ্ছে, ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডাকসু নির্বাচন। ডাকসু নির্বাচন থাকলে কেউ ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে পারত না। দ্বিতীয়টি হচ্ছে হলগুলোতে দল নিরপেক্ষ প্রশাসন নিয়োগ করতে হবে।’

মানবন্ধনে থেকে বক্তারা জানান, কোনো শিক্ষার্থীকে যদি হয়রানি করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকরা সমীচীন জবাব দেবেন।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক নাসরিন ওয়াদুদ, অধ্যাপক তাসলিম সিদ্দিকসহ আরও অনেকে।

গত ১৯ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ সাবিতা রিজওয়ানা রহমান দুই হাজার ছাত্রীকে বহিষ্কারের হুমকি দেন।

এ ছাড়াও ওই দিন রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত চারজন আবাসিক ছাত্রীর অভিভাবককে হলে ডাকা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে অভিভাবকদের মাধ্যমে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই চার শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন প্রশাসন কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।