ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:০১:২৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

বাজারে বন্যার প্রভাব, পণ্যের দর বাড়তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১১:৪৫ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

বাজারে সব কিছুর দাম চড়া। ফলে নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষদের জীবিকা নির্বাহে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মূলত দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। বড় বাজারের তুলনায় ছোট বাজারগুলোতে দাম বেড়েছে বেশি।


নানা অজুহাতে বাড়ে সবজির দাম। এবার বাড়ছে বর্ষার অজুহাতে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে। নতুন করে দাম বাড়েনি পেঁয়াজ ও চালের। তবে ডাল, ভোজ্যতেল, রসুন, মাছ-মাংসসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম ছিল স্থিতিশীল। রোববার রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর এবং মালিবাগ বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

 

রোববার রাজধানীর এসব বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকায়, গাজর ৫৫-৬০ টাকা, বেগুন মান ও বাজারভেদে ৫০-৫৫ টাকা, করলা ৫০ টাকা, মাঝারি আকারের লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০-১১০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, আকারভেদে পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা। আদা ১০০-১১০ টাকা ও রসুন ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

 

কারওরানবাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. রহিম বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি। বৃষ্টির কারণে তারা প্রতিটি সবজির বাড়তি দাম নিচ্ছে। তারা বলছে, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন জেলায় সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ঢাকায় সবজি আনতেও বেশি টাকা লাগছে।

 

তবে এখনও উচ্চ মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে চাল। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়।

 

রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচা বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা নাজমুল আহমেদ বলেন, প্রতি সপ্তাহে বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ে। আজ বেড়েছে সবজির দাম। দোকানদাররা ইচ্ছামতো দামে সবজি বিক্রি করছে। অথচ বাজার মনিটরিংয়ের জন্য কেউ নেই।

 


মাছের বাজারে দামের উত্তাপ দেখা গেল। রোববার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের মাছে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। রাজধানীর বাজারে রুই ও কাতলা প্রতি কেজি ২৪০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, বড় আকারের চিংড়ি প্রতি কেজি এক হাজার, মাঝারি ৭০০ টাকা ও ছোট আকারের চিংড়ি ৫১০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০ টাকা, কই ১৪৫-১৫৫ টাকা, সিলভার কার্প ১০০-১৩০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০ টাকা, নলা ১২৫-১৩৫ টাকা ও সরপুঁটি ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

 

 

ডিমও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ডিম ভেদে প্রতি ডজনের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে মাংসের বাজার স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং গরুর মাংস ৪৭০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।