ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ২:০৩:২২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করুক: প্রধানমন্ত্রী সবজির বাজারে স্বস্তি নেই যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ

বান্দরবানে জুমধান কাটতে ব্যস্ত পাহাড়ি নারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১৪ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী পাহাড়িদের আদিপেশা জুম চাষ। জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি পরিবারগুলো প্রায় সকলেই জুম চাষ করে থাকেন। তবে ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বম ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় জুম চাষ করলেও ম্রো সম্প্রদায় আদিকাল থেকে জুম চাষের মাধ্যমেই সারা বছরের জীবিকা সংগ্রহ করে থাকেন। তাই জুমের সোনালী ধান কেটে ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে পাহাড়ি নারীরা। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি জুমিয়ারা।

জুমিয়া পরিবারগুলোর মতে, আদিকাল থেকে জুম চাষের মাধ্যমেই সারা বছরের জীবিকা সংগ্রহ করে থাকেন। তাই ফসল ভালো হলে সারা বছরের খাদ্যের যোগান নিশ্চিত হয় অনেক জুমিয়া পরিবারের। এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি জুমিয়া পরিবারগুলো। ধানের পাশাপাশি ওই জমিতে ভুট্টা, মারফা, মরিচসহ নানা ফসলের বীজ একসঙ্গে রোপণ করে থাকে জুমিয়ারা। জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি পরিবারগুলো প্রায় সকলেই জুম চাষ করে থাকে। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে শুরু হয় জুমে ধান লাগানোর প্রক্রিয়া। প্রায় ৩-৪ মাস পরিচর্যার পর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে পাহাড়ে জুমের ধান কাটা শুরু করে জুমিয়ারা আর শেষ হয় অক্টোবর মাসে। তাই জুমের ফসল ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে জুমিয়া পরিবারগুলো। শিশু কিশোরসহ পরিবারের কেউই বসে নেই ঘরে। পরিবারের সবাই জুমের ধান কাটতে নেমেছে পাহাড়ে। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকার কারণে জুম চাষের ফলন ভালো হয়েছে। জুমের ফসলের মধ্যে মারফা, ভুট্টা, তিল, তুলা, মরিচ কাকনচাল, বিনি চাল, ও ধান অন্যতম।

এদিকে জুম চাষিরা জানান,পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়িরা প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন স্থানে শতশত একর পাহাড়ে জুম চাষ করে। জুমিয়ারা পাহাড়ে ধানের পাশাপাশি ভুট্টা, মরিচ, যব, সরিষা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্নরকমের সবজির চাষ করে থাকে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক এম এম শাহ নেওয়াজ বলেন, পাহাড়ি বেশির ভাগ মানুষ জুম চাষে নির্ভরশীল। গত বছর বান্দরবান জেলায় ৮ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়। আর চলতি বছর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৯৩৩ হেক্টর জমিতে। ফলন ভালো হলেও ধানের আবাদ ও উৎপাদন গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে।