ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:১৯:১৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’

বিহারে মায়ের বুকের দুধে ইউরেনিয়াম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০০ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিহারের ছয়টি জেলায় স্তন্যদানকারী মায়ের দুধে ইউরেনিয়াম (ইউ২৩৮) পাওয়া গেছে। শুক্রবার আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা এমনই তথ্য জানিয়েছে। ১৭ থেকে ৩৫ বছর বয়সি মোট ৪০ জন নারীর বুকের নমুনা পরীক্ষা করে গবেষকরা জানান, ১০০ শতাংশ নমুনাতেই তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়ামের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। যদিও গবেষকদের দাবি, এই উপস্থিতি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করার মতো মাত্রায় নয়। তা সত্ত্বেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে ভারতজুড়ে। এনডিটিভি।

বিহারের ভোজপুর, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, খাগড়িয়া, কাটিহার এবং নালন্দা জেলায় গবেষণা হয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই, মোট প্রায় তিন বছর ধরে চলেছে এই সমীক্ষা। মহাবীর ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (পাটনা), লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি এবং দিল্লির এইমসের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে পরিচালিত এই গবেষণাটি সায়েন্টিফিক রিপোর্টার্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিহারের মায়েদের দুধে সর্বোচ্চ ৫ পিপিবি (পার্টস পার বিলিয়ন) ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। এই গবেষণার সহলেখক এইমস দিল্লির ড. অশোক শর্মা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ শিশুর মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকার সম্ভাবনা দেখা গেছে, তবে মোট ইউরেনিয়াম-মাত্রা অনুমোদিত সীমার নিচে এবং বাস্তবে ঝুঁকি খুবই কম।’

একই মন্তব্য করেছেন ভারত অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের সাবেক গ্রুপ ডিরেক্টর ড. আসওয়ালও। রোববার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিহারে যে মাত্রা শনাক্ত হয়েছে, তা পুরোপুরি নিরাপদ সীমার মধ্যে। বরং ডব্লিউএইচও’র পানীয় জলে ইউরেনিয়ামের অনুমোদিত সীমা বিহারের নমুনায় পাওয়া মাত্রার প্রায় ছয়গুণ।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পানির জন্য ইউরেনিয়ামের অস্থায়ী গ্রহণযোগ্য সীমা প্রতি লিটারে ৩০ মাইক্রোগ্রাম নির্ধারণ করেছে, আর জার্মানির মতো কিছু দেশ আরও কঠোরভাবে ১০ মাইক্রোগ্রাম/লিটার সীমা অনুসরণ করে। ভূগর্ভস্থ পানিই দূষণের প্রধান উৎস হতে পারে। একই অঞ্চলে উৎপাদিত খাদ্যশস্য থেকেও দেহে প্রবেশ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, চীন, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, পাকিস্তান এবং নিম্ন মেকং ডেলটা অঞ্চলে উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম দূষণ লক্ষ্য করা গেছে।

দূষণের উৎস কোথায় 

গবেষণা বলছে, বিহারে ভূগর্ভস্থ জলে ইউরেনিয়ামের উপস্থিতি অনেক জায়গায় চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। সুপৌল, নালন্দা ও বৈশালীর জেলায় ভূগর্ভস্থ জলে ইউরেনিয়ামের মাত্রা যথাক্রমে ৮২, ৭৭ এবং ৬৬ ইউজি/এল পাওয়া গিয়েছে।