ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৩৬:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

বিয়ের প্রলোভনে নারী আইনজীবীকে ১৭ মাস ধরে ‘ধর্ষণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২০ শনিবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

রাজশাহী মহানগরীতে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে ডিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে এক নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের পর আজ শনিবার নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করেছে।

বর্তমানে ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্ত ডাক্তারকে রাজপাড়া থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায়।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখেন রানা। তারপর সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিলেন তিনি।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন অভিযুক্ত নারীর বরার দিয়ে জানান, ডা. রানার স্ত্রী-সন্তান আছে। তিনি রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আর ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় এবং তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তিনি নগরীর ডিসি অফিস এলাকার একটি বাড়িতে বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ভাড়া থাকেন।

ওসি শাহাদাত জানান, আজ সকালে ডা. রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এ সময় ওই নারীর বান্ধবী (রুমমেট) পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন এবং আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। আর ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।

এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের জায়গা থেকেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।

ওসি বলেন, ‘ভুক্তভোগী কোনোকিছুই খাচ্ছেন না, শুধু কান্নাকাটি করছেন। যার কারণে এখনো মামলা হয়নি। ওই নারী স্বাভাবিক হলে একটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মামলা দায়ের হলে ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। আর অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।’