ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০২:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

বেগুনি-হলুদ ফুলকপি জন্মাল ভারতে, দাম ১৬ লাখ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৫০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার

বেগুনি-হলুদ ফুলকপি জন্মাল ভারতে, দাম ১৬ লাখ

বেগুনি-হলুদ ফুলকপি জন্মাল ভারতে, দাম ১৬ লাখ

আমরা শুধু সাদা ফুলকপি দেখতেই অভ্যস্ত। ফুলকপি রঙিন হবে ভাবা যায়! ফুলকপির রঙ বেগুনি আবার কোনও ফুলকপির রঙ হলুদ। অবাক হচ্ছেন! হওয়ারই কথা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে হরেক রঙের ফুলকপি, এমন দৃশ্য দেখলে এই মুহূর্তে অবাক হতে বাধ্য আপনি। বিঘা বিঘা জমিতে ফলে আছে এই সব রঙিন ফুলকপি।

ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক নামক অঞ্চলে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ৪২ বছর বয়সী কৃষক মহীন্দ্র নিকম। শুধু রঙ দেখেই শুধু অবাক হবেন না, দামেও আছে চমক। এই কপিগুলোর মোট দাম উঠেছে ১৬ লাখ টাকা।

প্রায় আড়াই মাস আগে নাসিকের কৃষক মহীন্দ্র নিকম উন্নত এই বীজগুলো কিনেছিলেন। এগুলো হরিয়ানার কর্ণাল ফার্মে পরীক্ষা করা হয়। এই বীজগুলো পুনের সিঞ্জেন্টা ইন্ডিয়া লিমিটেড তৈরি করেছে।

মহীন্দ্র নিকম প্রায় ৪০,০০০ টাকা খরচ করে এই বীজ কিনেন। বিশেষ নকশা করা ফুলকপির বীজগুলো নাসিকের মালাগাঁও উপজেলার দাবদী গ্রামে মহীন্দ্র নিকম নিজের পাঁচ একর জমিতে বপন করেন।  

এখন পর্যন্ত মহীন্দ্র তার জমিতে হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি মিলিয়ে মোট ২০,০০০ কেজি ফলাতে পেরেছেন। মাহিন্দ্র নিকাম বীজ, সেচ, সার এবং কৃষিজমির জন্য ব্যয় করেছেন প্রায় ২ লাখ টাকা।

এখন অবধি, মহীন্দ্র নিকম মহারাষ্ট্র রাজ্যের একমাত্র কৃষক, যিনি এই একাধিক রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন। এখন সেই ফসল কাটার সময় এসেছে। এই রঙিন ফুলকপি বিক্রির পরে তার আনুমানিক আয় হতে পাড়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে সেই ফুলকপি।  

সিঞ্জেন্টা ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রতিনিধিত্ব শস্য বিশেষজ্ঞ শিরীশ শিন্ডে জানিয়েছেন, 'রঙিন ফুলকপি বীজ আবিষ্কার করতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পরে, হরিয়ানার কর্ণাল টেস্টিং ফার্মে ছোট ফুলকপির চারাগুলি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়। পরীক্ষার পর পছন্দসই ফলাফল হাতে এলে বীজগুলি দেশের কয়েকজন চাষির কাছে বিক্রি করা হয়।

মহীন্দ্র নিকম এমনই একজন ভাগ্যবান কৃষক যিনি এই অনন্য বীজ দিয়ে এরই মধ্যে ফসল ফলাতে সফল হয়েছেন।

এই হাইব্রিড ফুলকপির পুষ্টির মান অনেক বেশি। অ্যান্থোসায়ানিনসের সঙ্গে হাইব্রিড ফুলকপিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের পুষ্টি রয়েছে। সাধারণ  ফুলকপির থেকে এই ফসলে ভিটামিন এ’র পরিমাণ বেশি। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি, ফ্লু থেকে রক্ষা এবং ত্বকের কেরিয়ারের জন্য উপকারি।

সিঞ্জেন্টার শিরীশ শিন্ডে জানান, কৃষকদের সরবরাহ করার জন্য কর্ণাল খামারে এই ফুলকপির পর্যাপ্ত বীজ রয়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে বীজগুলো কৃষকদের সরবরাহ করা হবে।