ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ০:২৭:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:২৬ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নিউ মার্কেট, কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সরু দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারদের কাছ থেকে কেজি প্রতি আস্ত মসুর ডাল কিনতে খরচ পড়ছে ৮১ টাকা। ডাল ভাঙানো ও অন্যান্য খরচসহ কেজি প্রতি মসুর ডালের দাম হয় ৯৪ টাকা। সেই ডাল ক্রেতাদের কাছে ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এক কেজি মসুরি ডালে তারা ৩৫-৪৫ টাকা লাভ করছেন।

বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা মসুর ডাল ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি করলেও রাজধানীর সুপার শপগুলোতে আরও ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সুপার শপে প্যাকেটজাত মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা প্রতি কেজি।

হাতিরপুল বাজারে আসা সাইফুদ্দিন বলেন, ‘গত মাসেও মসুর ডাল কিনেছি ১১০ টাকা করে। হঠাৎ করে এ মাসে ১৪০ টাকা চাচ্ছে। দোকানি বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে গেছে। তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন। কিন্তু, একবার কোনো জিনিসের দাম বাড়ালে বিশ্ববাজারে দাম কমলেও আমাদের বাজারে তা আর কমে না।’

পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ মূলত মসুর ডাল আমদানি করে অস্ট্রেলিয়া থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেলেও বর্তমানে তা আবার কমতে শুরু করেছে। আগে প্রতি টন মসুর ডাল আমদানি হতো ৯২০ ডলারে। বর্তমানে সে ডালের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮০ ডলার। অথচ, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও এর প্রভাব পড়েনি আমাদের পাইকারি বা খুচরা বাজারে। এখনও ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন। ক্রেতারা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাজারসংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবি বলছে, বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম কমলেও দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়তে সময় লাগে। এর জবাবে ভোক্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমলে তার প্রভাব পড়তে যেমন সময় লাগে, একই অবস্থা হওয়া উচিত দাম বাড়লেও। কিন্তু সেক্ষেত্রে সেটা হয় না। একবার দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীরা আর দাম কমাতে চান না। অথচ বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে রাতারাতি দেশীয় বাজারে বেড়ে যায় প্রণ্যর দাম।

পুরান ঢাকার চকবাজার, মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমেছে, এটা ঠিক। কিন্তু দেশীয় বাজারে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে অনেকটাই বেড়ে গেছে আমদানি খরচ।

মৌলভীবাজারের হোসেন ট্রেডার্সের মালিক আবুল হোসেন  বলেন, ‘বর্তমান বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। খোলাবাজারে ডলারের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ১১৪ টাকা, যা আগে কখনো হয়নি। এর প্রভাবও আমদানি করা পণ্যের ওপর পড়ছে। ফলে, বিশ্ববাজারে অনেক পণ্যের দাম কমলেও আমাদের এখানে সেটার প্রভাব পড়তে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়।’