ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:৪৯:১০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ মহান বিজয় দিবস দেশজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবে সরকার ‘হয়তো জানতেও পারবো না, মা কবে মারা গেছেন’

‘হয়তো জানতেও পারবো না, মা কবে মারা গেছেন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৩ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের কারাবন্দী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং তাকে নিয়ে তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার ছেলে কিম আরিস। মিয়ানমারের এই নেত্রীর বন্দিদশা ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আশঙ্কা করে কিম আরিস বলেছেন, তিনি হয়তো জানতেই পারবেন না, তার মা কবে মারা গেছেন।

সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে অং সান সু চিকে নিয়ে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার ছেলে কিম আরিস। রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ৮০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে তিনি বছরের পর বছর ধরে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে সু চি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার হৃদ্‌যন্ত্র, হাড় ও মাড়ির সমস্যার বিষয়ে কেবল বিচ্ছিন্ন এবং পরোক্ষ কিছু তথ্যই তিনি পেয়েছেন।

চলতি মাসের শেষের দিকের নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে মিয়ানমারের জান্তার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন কিম আরিস। তবে নির্বাচনী এই প্রক্রিয়া তার মায়ের দুর্দশা লাঘবের একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার এই নির্বাচনকে ধোঁকাবাজি বলে মনে করে।

জাপানের রাজধানী টোকিওতে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিম আরিস বলেন, ‘তার মায়ের বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা রয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে কেউ দেখেনি। তার আইনজীবীদের সঙ্গেও যোগাযোগের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরিবার তো দূর। আমার জানা মতে, তিনি ইতোমধ্যে মারা গেছেন—এমনও হতে পারে।’

তিনি বলেন, আমার মাকে নিয়ে (মিয়ানমারের জান্তা নেতা) মিন অং হ্লেইংয়ের নিজস্ব এজেন্ডা আছে বলে মনে করি। নির্বাচনেরআগে কিংবা পরে সাধারণ জনগণকে শান্ত করার জন্য তাকে মুক্তি দিয়ে অথবা গৃহবন্দী করে যদি তাকে ব্যবহার করতে চান; তাহলেও অন্তত কিছু একটা হতো।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে টেলিফোন করা হলেও মিয়ানমারের জান্তার এক মুখপাত্র সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ইতিহাসে সরকারি ছুটির দিন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার নজির রয়েছে।

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু চি ২০১০ সালের নির্বাচনের কয়েক দিন পর মুক্তি পেয়েছিলেন। এর মাধ্যমে ইয়াঙ্গুনের ইনয়া হ্রদের ধারে ঔপনিবেশিক আমলের পারিবারিক বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা তার গৃহবন্দিত্বের অবসান ঘটে।

২০১৫ সালের নির্বাচনের পর তিনি মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেতা হন। দেশটির ওই নির্বাচনকে কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তবে পরবর্তীতে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ ওঠায়, তার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।