ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৩:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন আজ

সালমা সুলতানা | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৪ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের প্রবর্তক কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রোহ ও সংগ্রাম তিনিই সূচনা করেন এবং সর্বোতভাবে সফল হন। প্রাচীন ও মধ্যযুগের ধীর, অলস ও একমাত্রিক জীবন-যাত্রার তাল-ছন্দ তিনিই ভেঙেছেন, এ তার বৈপ্লবিক কর্মযজ্ঞ।

মাইকেল মদুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন জমিদার।মা ছিলেন জাহ্নবী দেবী।

মধুসূদনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় মা জাহ্নবী দেবীর কাছে। তেরো বছর বয়সে মদুসূদন দত্ত কলকাতা যান এবং স্থানীয় একটি স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনার পর তিনি সেসময়কার হিন্দু কলেজে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। তিনি বাংলা, ফরাসি ও সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষালাভ করেন। এরপর  তিনি কলকাতার বিশপস কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখানে তিনি গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন। পরবর্তীতে আইনশাস্ত্রে পড়ার জন্য তিনি ইংল্যান্ড যান। 

মাইকেল মদুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তিনি বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্ববাসী এ ধীমান কবিকে মনে রেখেছে কৃতজ্ঞচিত্তে। মধুসূদন নতুন কালের আহবান উপলব্ধি করেছিলেন আর এ জন্যে বাংলা সাহিত্যের গতানুগতিক আঙ্গিক, ভাব ও বক্তব্যের ক্ষেত্রে তিনি আনলেন জীবন ও জগৎমুখী গতিময় পরিবর্তন।

এবং এমন একটি সাহিত্যিক আবহাওয়া থেকেই আমাদের সুসজ্জিত আলোক-উজ্জ্বল সাহিত্যের এই বর্তমানে এসে স্থিত হওয়া।

আত্মসমর্পণমুখী যুক্তিহীন ভক্তিসর্বস্ব অন্ধকার জগৎ থেকে মানব-আত্মাকে তিনিই জাগিয়ে তুলেছেন, মানব মনে প্রতিষ্ঠা করেছেন জীবন-উপভোগের স্পৃহা, সামান্যে তৃপ্ত বাঙালির হৃদয়ে তিনিই এনেছেন অপার অনুসন্ধিৎসা। বাংলা সাহিত্যে কালবদলের এ বড় কাজটি সম্পন্ন হয়েছে তার হাতেই।মধুসূদনের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক চিন্তা ঊনবিংশ শতাব্দীর রেনেসাঁস বা নবজাগৃতি সূত্রে গঠিত।

এ মহাকবির জন্মের কারণেই সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ নদ জগৎবিখ্যাত। কালের প্রবাহে কপোতাক্ষ নদের যৌবন বিলীন হলেও মাইকেলের কবিতার কপোতাক্ষ নদ যুগে যুগে বয়ে চলেছে।

১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এ মহাকবি।কলকাতায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মদিন ঘিরে মধুমেলা কিংবা বিস্তৃত পরিসরের আয়োজন থাকছে না। 

তিনি জানান, মহাকবির জন্মবার্ষিকীতে আজ সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে একদিনের কর্মসূচি উদযাপিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে মহাকবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে কবির জীবনীর উপর আলোচনা সভা। এছাড়া রয়েছে কবিতা আবৃত্তি।

প্রথমবারের মতো এবছর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।