ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ২২:৪৫:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করুক: প্রধানমন্ত্রী সবজির বাজারে স্বস্তি নেই যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ

মেঘনার বুকে জেগে উঠেছে অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে প্রাকৃতিকভাবে জেগে উঠছে চর। গত কয়েক বছরে নতুন করে জেগে ওঠা এসব চরে জমি এখন দৃশ্যমান। সরকারিভাবে যদি এ চরগুলোতে বাঁধ দিয়ে উৎপাদনমুখী করা যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি নদীভাঙা ও ভূমিহীন মানুষগুলোকে পুনর্বাসন করা যাবে এসব চরে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১২-১৫ বছর পূর্বে এখানে ঘনবসতি বাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ছিল। ফসলি জমিতে সোনালী ফসল উৎপাদন হতো। ফসলে ফসলে কৃষি জমি ভরপুর থাকতো। উৎপাদিত কৃষি পণ্য দেশের অন্য অঞ্চলের খাদ্য খাটতি পূরণ করতো। দুর-দুরান্ত থেকে ব্যাপারিরা কৃষি জমির ধান, ফসলি পণ্য কিনে নিয়ে রপ্তানি করতো। দুর্গম চর ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়।

তবে যে পরিমাণ ভূমি বিলীন হয়েছিলো পরবর্তী সময়ে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি ভূমি ফিরিয়ে দিয়েছে মেঘনা। এরই মধ্যে বসতি গড়ে ওঠেছে চর ঘাসিয়া, ঢালচর, চর আতউরসহ কয়েকটি চরে। চর মোহাম্মদ আলী, দমারচর, চর জোনাক, চর গাঙ্গুরিয়া, চর নুরুল ইসলাম, চর প্রিয়া ও চর ওছখালিসহ কয়েকটি চরে ধান চাষের পাশাপাশি রয়েছে গরু, মহিষ ও ভেড়ার বাতান।


তবে জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় চরগুলো একাধিকবার ধান চাষ করলেও ফলন মেলে একবার। এরপরও প্রতি বছর কয়েক লাখ টাকার কৃষিপণ্য উৎপাদন হয় বিচ্ছিন্ন এ চরগুলোতে। তবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এগুলোকে কৃষির আওতায় আনা হলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

বন বিভাগের তথ্যমতে, নতুন করে জেগে ওঠা চরগুলোর মধ্যে চরঘাসিয়ার আয়তন ৫ হাজার ১ একর, ঢালচর ৪ হাজার, চর আতাউর ৫ হাজার ৬৮৩, চর মোহাম্মদ আলী ১ হাজার ১৭১, দমারচর ৬ হাজার ৩৬০, চর আয়েশা ৫ হাজার ২১৩, চর গাঙ্গুরিয়া ১০ হাজার ২, চর নুরুল ইসলাম ১০ হাজার ৩, চর প্রিয়া ২ হাজার ৯৯৯, চর ওছখালী ৭ হাজার ২, চর ইউনুস ৩ হাজার ৭০০, নতুন চর ইউনুস ৭০০, চরকমলা ১৩ হাজার ৩৩৯, চর ওসমান ৫ হাজার ৫০০, চর মুয়িদ ৩ হাজার ৩০০, চর কবিরা ২ হাজার, চর কালাম ৮ হাজার ৭৮৫, খাজারচর ৪ হাজার ৫০০, চর রৌশন ৪ হাজার ৫০০ ও চর জোহান ৫ হাজার ৭০০ একর। এর মধ্যে প্রায় সবগুলো চরের ৪৫ হাজার একর জমি উদ্যানের আওতায় আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, হাতিয়ার চারপাশে প্রাকৃতিকভাবে ভূমি জেগে উঠছে। আগামী ১৫/২০ বছর পরে চরগুলো একটি সঙ্গে আরেকটি যুক্ত হবে। সরকারিভাবে যদি এ চরগুলোতে বাঁধ দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাহলে কৃষি, শিল্প কারখানাসহ অনেক কিছু করা সম্ভব। এছাড়া নদীভাঙা ও ভূমিহীন মানুষগুলোকে পুনর্বাসন করা যাবে এসব চরে। চরগুলোকে উৎপাদনমুখী করে গড়ে তুলতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী তিনি।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু বলেন, জেগে উঠা চরগুলোর সার্বিক উন্নয়নে এরই মধ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এসব চরের মানুষগুলোকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, মেঘনার বুকে জেগে উঠা নতুন চরগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন হচ্ছে। তবে আমরা সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছি।