ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৮:১৮:৫৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

রোজিনাকে মাটিতে পুঁতে হত্যার হুমকি দেয়া হয়: ছোট বোন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ১৮ মে ২০২১ মঙ্গলবার

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রোজিনার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রোজিনার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন জুলি। সোমবার রাতে বড় বোনের সঙ্গে দেখা করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এদিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তাকে উপস্থাপনের জন্য আদালতে নেওয়া হয়েছে। শাহবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়। যেখানে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
 
সাবিনা ইয়াসমিন জুলি বলেন, রোজিনা ইসলাম আমার বড় বোন। আমি প্রথম জানতাম না কি হয়েছে। থানায় এসে আপার সঙ্গে কথা বলে সব শুনেছি। আমার বোন আজ টিকা নিয়েছে। তিনি খুব অসুস্থ। এখন দেখলাম তার গায়ে অনেক জ্বর। টিকা নেওয়ার পর তিনি সচিবালয়ে যান। সেখানে তার সঙ্গে সোর্সের দেখা হয়। দেখা হওয়ার পর সোর্স আমার বোনকে কিছু ডকুমেন্ট দেয়। ডকুমেন্ট পাওয়ার পর তিনি স্বাস্থ্য সচিবের রুমের বাইরে অপেক্ষমাণ কনস্টেবল মিজানের কাছে ভেতরে কেউ আছেন কি-না জানতে চাইলে মিজান বলেন, ভেতরে কেউ নেই। আপনি ভেতরে গিয়ে বসেন।

জুলি আরও বলেন, তখন আমার বোন বলেন, আমি ভেতরে যাব না। আমি কিছু তথ্যের জন্য এসেছিলাম। তারপর মিজান বলেন, আপনি রুমের ভেতর বসেন। স্যার এখনি চলে আসবেন। এ কথা বলে মিজান আমার বোনকে রুমের ভেতরে বসায়। কক্ষে বসে আপা পত্রিকা পড়ছিলেন। ওই সময় কনস্টেবল মিজানসহ আরও কয়েকজন আপার ব্যাগ কেড়ে নেয়। তারা আমার বোনকে হুমকি দিয়ে বলেন, এতদিন অনেক নিউজ ও লেখালেখি করেছেন, আপনাকে মাটির মধ্যে পুঁতে ফেলব। পরে বোনকে ছয়-সাত ঘণ্টা সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়।

রোজিনার ছোট বোন বলেন, আমার বোন পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে হয়রানি করা হয়েছে। কনস্টেবল মিজানসহ ছয়-সাত জন আপাকে ঘিরে রাখে। মিজান তাকে মারতে গিয়েছিল। পরে তারা আপার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তারা বোনের ব্যাগের মধ্যে কিছু কাগজ ঢুকিয়ে দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।

কখন সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ব্যাগের ভেতরে কাগজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সাবিনা ইয়াসমিন জুলি বলেন, এত কিছু আমি বলতে পারব না। যেহেতু আমি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত নই। ব্যাগের মধ্যে কাগজ ঢুকিয়ে দিয়ে তারা বলে, আমরা দেখে নেব।

সাবিনা ইয়াসমিন জুলি আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাতের কিছু অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করার পর থেকে বোনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তবে এখন বোনের শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার বোনের চিকিৎসার প্রয়োজন। তাকে যদি এখন চিকিৎসা দেওয়া না হয় তাহলে বোনের শরীর আরও খারাপ হয়ে যাবে। আমরা খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি।