ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫৪:৪৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ, প্রাথমিক খোলা বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত

শেখ হাসিনা তরুণদের অনুপ্রেরণার উৎস

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১১ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ছবি: বাসস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস।

বিশ্ব নেতারা যেমন বাংলাদেশকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সামগ্রিক নেতৃত্বের জন্য বহুবার শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, তরুণরাও সাহস, গতিশীলতা, দূরদৃষ্টি ও মানুষের প্রতি ভালবাসার জন্য তাকে এক আলোকবর্তিকা হিসাবে পেয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সম্প্রতি বলেছেন যে তিনি অনেক বছর ধরে শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করছেন কারণ তিনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা। ‘শেখ হাসিনা আমার মেয়েদের জন্য একটি মহান অনুপ্রেরণা হিসাবে রয়ে গেছেন এবং তারা তার মতো মহান নেতা হতে চায়,’ সুনাক বলেন।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনও বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তায় অমূল্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। মুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভিশনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি দ্রুত অগ্রসর দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’

জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, প্রাক্তন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিসহ অনেক বিশ্বনেতা দেশে ও বিদেশে বিশেষ করে একটি দারিদ্র্য-জর্জরিত জাতিকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য তার অন্য বিশ্ব নেতাদের সাথে তার প্রশংসা করেছেন।

দেশের যুবসমাজের মতে শেখ হাসিনা তার অসাধারণ ও সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতার পর বছরের পর বছর ধরে সকল প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন এবং সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। ফলে তিনি তাদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন।

শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনের প্রাক্কালে বাসসের সাথে আলাপকালে বেশ কয়েকটি যুব সংগঠনের নেতারা তার ভুয়সী 
প্রশংসা করেছেন।
মীর হাসিবুল হাসান রিশাদ বলেন, ‘যে বিশ্বে যুবকরা ক্রমাগত রোল মডেল এবং অনুপ্রেরণার উৎস খোঁজে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের কাছে একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব বলে মনে হয়।’

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (জেইউডিএস) সভাপতি রিশাদ বলেন, আধুনিক বিশ্বের সাথে মানিয়ে নিতে শেখ হাসিনার অভিযাত্রা যুব সমাজকে যোগ্য নাগরিকে পরিণত করার দৃঢ়তা, অধ্যবসায় ও অঙ্গীকারের সাক্ষ্য দেয়। 

তিনি বলেন, ‘তরুণদের কাছে শেখ হাসিনা শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার চেয়েও বেশি কিছুর প্রতিনিধিত্ব করেন, তিনি অনুপ্রেরণার উৎস ও দৃঢ়তার প্রতীক। রিশাদ বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় শেখ হাসিনার আত্ম-নিবেদন তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি অমোঘ ধারণা রেখে গেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাফিয়া রহমান বলেন, তিনি শেখ হাসিনাকে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম সেরা নেতা মনে করেন। শেখ হাসিনা বাস্তবে তার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য আজ তরুণদের কাছে রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। 

তিনি শেখ হাসিনার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, ব্যবসা শুরু, নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন যুববান্ধব উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এ সমস্ত উদ্যোগ বেকারত্ব কমাতে, জনশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তরুণদের আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করেছে।’ 

ইসলামিক স্টাডিজের মাস্টার্সের ছাত্রী রাফিয়া বলেন, ‘সংক্ষেপে আমরা একটি সমতার সমাজ চাই, যেখানে নারী-পুরুষ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমতা ভোগ করবে এবং শেখ হাসিনা আমাদের জন্য এটি সম্ভব করেছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার মতো একজন মহান নেতাকে পেয়ে গর্বিত বোধ করি, যিনি দেশীয় তহবিল দিয়ে পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং এমআরটিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের মেগাপ্রজেক্ট সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন, যাতে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য স্থানীয় ও বৈশ্বিক সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।’

ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা একসময় সবার কাছে ছিল অকল্পনীয়। এ অগ্রগতি জাতির জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। পাশাপাশি তরুণদেরকে জাতির উন্নতির জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পারমাণবিক শক্তি, স্যাটেলাইট ও ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগে প্রবেশ করেছি। পদ্মা সেতু আমাদের অর্থনৈতিক শক্তির স্পষ্ট প্রমাণ। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কাউকে বিশ্বাস করতে হবে যে এখন বাংলাদেশ আরও বড় স্বপ্ন দেখতে পারে এবং তা সম্ভব করতে পারে।’ 

তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার যুগে, বাংলাদেশ ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সাথে একটি টেকসই আন্তঃআঞ্চলিক সংযোগ পরিচালনা করেছে। এটি আমাদের অর্থনীতির বিকাশে প্রভূত সাহায্য করে। এটি পরিচালনা করা খুবই  কঠিন কিন্তু বাংলাদেশ তা করেছে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র নাইম হাসান বলেন, এক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে নিদারুণ দারিদ্র্য থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এত সহজ ছিল না। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি সাহসী ও প্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের কারণে এটি ঘটেছে, যা শেষ পর্যন্ত কাঠামোগত রূপান্তর এবং উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশকে দ্রুত প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে গেছে।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও ফার্মেসি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অনিক ধর বলেন, শেখ হাসিনা প্রায় ১৫ বছর ধরে একটানা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বড় ধরনের সাফল্য ও অর্জন এসেছে। বাংলাদেশ নিন্ম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে এবং মর্যাদা ও সম্মানের দিক থেকে দেশকে বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছে। 

ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে বিশেষ করে নিবিড় ও সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

সূত্র: বাসস