ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৮:৪৬:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

সাড়ে ৪ হাজার বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের অনুমতি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০২ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতাল ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স পেতে আবেদন করে অনুমতি না পেয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় সাড়ে চার হাজার বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র। কেউ কেউ আবার লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করেই কার্যক্রম চালাচ্ছেন বছরের পর বছর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার আবেদনের বিপরীতে নয় হাজার ৪৭টি হাসপাতালকে অনুমোদন দিয়েছেন তারা। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে।

সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগের পর দেশজুড়ে অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মাঠে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে অনেক হাসপাতাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।  

রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে ‘আঁটিবাজার সেন্ট্রাল হসপিটাল’ ও ‘বিসমিল্লাহ্ জেনারেল হাসপাতাল’। হাসপাতালের নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু নবায়ন না করে এখনও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

হাসপাতালটির মালিক বলেন, আমাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত। অথচ এখানে দেওয়া হয়েছে ৩০ জুন ২০১৯ মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন।

একই এলাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোরও একই অবস্থা। জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। অন্যদিকে কেবল রোগ নির্ণয়ের কথা থাকলেও রোগীও ভর্তি করছেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র জানালেন, সারাদেশে তারা এ পর্যন্ত নয় হাজার ৪৭টি হাসপাতালকে অনুমোদন দিয়েছেন। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ১৩,০০০ হাজার ৪৯০টি আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। তার মধ্যে ৯ হাজার ৪৭টি আবেদনে লাইসেন্স দিয়েছি। আর বাকি আছে ৪ হাজার ৩৪৩টি। সবাইকে লাইসেন্স নিয়েই পরিচালনা করতে হবে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বলছে, তড়িঘড়ি করে অনুমোদন না দিয়ে কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। আর অনুমোদনের আগে কেউ যেন হাসপাতাল পরিচালনা করতে না পারে সেদিকেও নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি নীতিমালায় নিয়ে আসা দরকার। সরকার যৌক্তিকভাবেই বেসরকারি খাতকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু এই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে কোন আইনের কাঠামো তৈরি না করে।

-জেডসি