ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫৫:০১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

সেলিনা বাহার জামান: জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলী

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:০১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ সেলিনা বাহার জামানের জন্মদিন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন অন্যতম লেখক। বিভিন্ন খ্যাতিমান লেখকের রচনা সংগ্রহ ও স্মারকগ্রন্থের সুযোগ্য সম্পাদক, সংস্কৃতিকর্মী ও নারী জাগরণ আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এই মহান নারী। পঞ্চাশের দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা, আবৃত্তিকার ও নৃত্যনাট্য শিল্পী তিনি। বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলনে তার অবদান অপরিসীম।

ওই সময়ের সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি চালিয়ে গেছেন তাঁর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও লেখালেখির কাজ। তবে সবচেয়ে বেশি তিনি সমাদৃত হয়েছেন খ্যাতিমান বিভিন্ন লেখকের স্বারকগ্রন্থ প্রকাশ করে। পাশাপাশি নারী জাগরণ আন্দোলনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এই লেখিকা, আবৃত্তিকার ও সংস্কৃতিকর্মী সেলিনা বাহার জামানের জন্মদিন আজ শুক্রবার।

১৯৪০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সেলিনা বাহার ছিলেন সবার বড়। তিনি প্রয়াত সমাজসেবী ও মন্ত্রী হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী ও  শিক্ষাবিদ আনোয়ারা বাহার চৌধুরীর বড় মেয়ে।
  
সেলিনা বাহার তাঁর প্রথম স্কুল জীবন শুরু করেন কলকাতার প্র্যাট মেমোরিয়াল স্কুল দিয়ে। পরে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার কামরুন্নেসা স্কুলে ভর্তি হন তিনি।  ১৯৫৪ সালে এসএসসি এবং ১৯৫৬ সালে ইডেন কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করেন।  পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে এমএসসি করেন। এমএসসিতে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।

১৯৬১ সালে ইডেন কলেজের গণিতের প্রভাষক হিসেবে শুরু হয় তাঁর পেশাজীবন। পরে অবশ্য তিনি  বদরুন্নেসা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজেও অধ্যাপনা করেছেন। সবশেষে তিনি জগন্নাথ কলেজের গণিত বিভাগের  বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

সেলিনা বাহার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন অনেক ছোটবেলাতেই।  শিশু শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে একাধারে প্রায় পঞ্চাশ বছর তিনি রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাট্যশিল্পী ও পরিচালক হিসেবে অংশ নিয়েছেন। অর্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘নজরুল ধূমকেতু’ সম্পাদনাও করেছেন  তিনি।

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, জহুর হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারা বাহার চৌধুরী, শামসুদ্দিন আবুল কালাম, শামসুন্নাহার মাহমুদ, আব্দুল ওয়াহাবসহ বহু সংখ্যক কৃতীজনদের জীবনকর্ম নিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাঁরই সম্পাদনায়। এই কর্মকান্ডের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন।

বহুমুখী প্রতিভাধর এই নারী ২০০৪ সালের ১ ডিসেম্বর মাত্র ৬৪ বছর বয়সে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।