ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৫:২৮:৫৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

হুমায়ূন আহমেদের সেরা ১০ উপন্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৩৮ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

লেখালেখির জীবনে গল্প, উপন্যাস আর নাটকে নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছেন কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় তিনশত। এরমধ্যে জনপ্রিয় ১০ উপন্যাস এর পরিচিতি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। 

১. ‘নন্দিত নরকে

’‘নন্দিত নরকে’ তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। যা ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় মাসিক ‘মুখপাত্র’ নামে একটি সংকলনে। এরপর আহমদ ছফা উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেন। উপন্যাসটি তখন খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোং কর্তৃক গ্রন্থাগারে প্রথম প্রকাশিত হয়।

একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের দু:খ ও কষ্টের বিষাদ বর্ণনা আছে ‘নন্দিত নরকে’। পরিবারে চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় মেয়ে রাবেয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। রাবেয়াকে ঘিরেই পুরো গল্পের পটভূমি। এছাড়া এ গল্পে আছে মা, বাবা, ভাই, বোন, শফিকসহ অনেকেই। 

২. শঙ্খনীল কারাগার

‘শঙ্খনীল কারাগার’ হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস হলেও এর প্রতিটি পাতায় দক্ষ জীবনশিল্পীর ছোঁয়া পাওয়া যায়। 

উপন্যাসের কথক ‘খোকা’। একটি কলেজের শিক্ষক তিনি। তারা ছয় ভাইবোন- রাবেয়া, খোকা, রুনু, ঝুনু, মন্টু আর নীনু। সবার বড় বোন রাবেয়া। রাবেয়া খোকার মায়ের আগের পক্ষের মেয়ে। আবিদ হোসেন নামে এক ধনী ব্যক্তির সাথে খোকার মা শিরিন সুলতানার বিয়ে হয়েছিল। সেই পরিবারে জন্মায় রাবেয়া। আবিদ হোসেনের সাথে কোনো এক অজানা কারণে খোকার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন তাদের বাড়ির চিলেকোঠায় আশ্রিত চাকরি সন্ধানরত বিএ পাস আজহার হোসেনকে বিয়ে করেন তিনি।

৩. জোছনা ও জননীর গল্প

‘জোছনা ও জননীর গল্প’ একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাস এটি। উপন্যাসে বারবার উঠে এসেছে বীভৎস সেই ভয়াবহতার চিত্রগুলোই। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে দেশান্তরিত হয়েছে। অনেকে হারিয়েছে প্রিয়জনকে । আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে মানুষের অনুভূতিগুলো তখন মুক্তিযুদ্ধের সময় কেমন ছিলো তা লেখক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন এই বইটিতে।

৪. দেবী

১৯৮৫ সালে ‘দেবী’ প্রকাশিত হয়। বইটি হুমায়ুন আহমেদের অন্যতম সৃষ্টি মিসির আলী সিরিজের বই। দেবীর মাধ্যমেই হুমায়ূন আহমেদ প্রথম মিসির আলী পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। মিসির আলী একজন অতি সাধারণ মানুষ। যিনি মানুষের মন নিয়ে প্রচুর পড়ালেখা করেন এবং মাঝে মাঝে অতিপ্রাকৃতিক বা অলৌকিক বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেন। বইটি ভৌতিক কোন বই নয়, তবুও রাতের অন্ধকারে একাকী নির্জন ঘরে বসে বইটি পড়লে এর রহস্যময়তা পুরোপুরি অনুভব করতে পারবেন।

৫. মধ্যাহ্ন

১৯০৫ সালের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে ‘মধ্যাহ্ন’ উপন্যাস রচিত হয়েছে। এটি দুই খন্ডের উপন্যাস। যার প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে এবং দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। 

এ উপন্যাসে লেখক একটি ঐতিহাসিক পটভূমিকে পরোক্ষ করেছেন। ঐতিহাসিক পটভূমির অংশ হিসেবে বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলাকে বেছে নিয়েছেন তিনি! উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র সৎ ব্যবসায়ী হরিপদ সাহা। যিনি এক মুসলিম ছেলেকে আদর করেছিলেন যার কারণে তাকে সমাজচুত করা হয়। একই ধরনের আপরাধে দোষী হলে আরেক চরিত্র ব্রাহ্মণ অম্বিকা ভট্টাচার্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে সিরাজুল ইসলাম ঠাকুর হয়ে যান।

৬. দেয়াল

এটি একটি ইতিহাস ভিত্তিক উপন্যাস। যেখানে লেখক দুইটি আখ্যান সমান্তরাল ভাবে লিখে উপন্যাসটিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বইটির প্রথম আখ্যানে রয়েছে অবন্তি নামে এক তরুণির। যে ঢাকা শহরে নিজের পিতামহের সঙ্গে থাকে। তার দাদা কিছুটা রক্ষনশীল মানসিকতার। তিনি সব সময় অবন্তিকে নজরদারিতে রাখেন, অবন্তির মায়ের চিঠি লুকিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা ঢাকা শহর থেকে পালিয়ে যায়, আশ্রয় নেয় এক পীরের বাসায়। এই সব কিছুই এই বইয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে। বইটিতে গল্পের ভেতর দিয়ে ইতিহাসকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যার ফলে অনেক জটিল বিষয়ও পাঠকের কাছে সহজ রুপে ধরা দিয়েছে।

৭. একজন মায়াবতী

‘একজন মায়াবতী’ একটি জনপ্রিয় প্রেমের উপন্যাস। গল্পে সবার কাছে মনজুরকে অনেক ভালো লেগেছে । সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এজন্য যে তার মধ্যে কোনো ভান নেই। সবাই ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না। প্রত্যেকে নিজের মতো করে ভালোবাসে। মনজুরও মীরাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু মীরা তা কখনো বুঝতে পারেনি। এভাবেই গল্প এগোতে থাকে। 

৮. শ্রাবণ মেঘের দিন

‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ আরো একটি জনপ্রিয় রোমান্টিক উপন্যাস। গল্পের মূল চরিত্রে রয়েছে মতি, সে একজন গায়ক তাকে মনে মনে ভালবাসে ঐ গ্রামেরই একটি মেয়ে কুসুম তার গানের গলাও খুব ভালো। সে সব সময় ভাবে মতি মিয়াকে নিয়ে একটা গানের দল করে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াবে। কিন্তু ঢাকা থেকে আসা ঐ গ্রামের জমিদার নাতনি শাহানা কে ভালোবাসে মতি তবে জানে না শাহানা তাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে মুল্যায়ন করে মাত্র। মতি, কুসুম এবং শাহানাকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি গল্পের বই। 

৯. দারুচিনি দ্বীপ

‘দারুচিনি দ্বীপ’ হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্রকে নিয়ে লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে কানাবাবা নামে খ্যাত শুভ্র এবং তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার আয়োজন করে। পুরো উপন্যাসটিতে শুধু তাদের সমুদ্রে যাওয়ার আয়োজন এবং না যেতে পারার আশঙ্কাটুকুই বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু উপন্যাসটির শেষ পর্যন্ত তারা সমুদ্রে যেতে পারেনি। উপন্যাস শেষ হয় এর পাত্র-পাত্রীদের সমুদ্রযাত্রার উদ্দেশ্যে ট্রেনে চড়ার দৃশ্য দিয়ে। লেখকের ভাষায়, তিনি এই উপন্যাসে তার পাত্র-পাত্রীদেরকে সমুদ্রে নিয়ে যেতে পারেননি, তার কারণ তিনি নিজেই তখনও সমুদ্রে যাননি। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি দারুচিনি দ্বীপ এর দ্বিতীয় খন্ড রূপালী দ্বীপ রচনা করেন, যেখানে তাদের মিশন দারুচিনি দ্বীপ পূর্ণতা লাভ করে।

১০. তন্দ্রাবিলাস

‘তন্দ্রাবিলাস’ হুমায়ূন আহমেদ এর মিসির আলি চরিত্রভিত্তিক উপন্যাসগুলোর ১১ নম্বর উপন্যাস। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। তন্দ্রাবিলাস উপন্যাসটি মানুষের অবচেতন মন, পরাবাস্তব জগৎ এর এক অদ্ভুত মেলবন্ধন।