ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:৪৩:০১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

আলু-পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৪ এএম, ৩ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

লাগামহীন গতিতে ছুটছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। বাড়তে বাড়তে দেশি পেঁয়াজের কেজি গিয়ে ঠেকেছে ১৪০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এর সঙ্গে চড়ছে আলুর দামও। সবশেষ হরতাল-অবরোধের সুযোগ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ খোদ খুচরা বিক্রেতারাই। তারা ক্রেতাদের বোঝাতে গিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন।

এ ছাড়া পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ভারতের রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কায়নের কথা বলছেন।

এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শিম ও গাজরের দাম ৪০ টাকা বেড়ে যথাক্রমে ১৮০ ও ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে শিম ও গাজরের কেজি ছিল যথাক্রমে ১৪০ ও ১২০ টাকা।

বেড়েছে বেগুন ও করলার দামও। আজ প্রতি কেজি লম্বা জাতের বেগুন ৮০ টাকা ও গোল বেগুন (সাদা) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। ১ সপ্তাহ আগে লম্বা জাতের বেগুন ৬০ টাকা ও গোল বেগুন (সাদা) বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। ৩ সপ্তাহ আগে লম্বা বেগুনের দর ছিল ৪০ টাকা ও গোল (সাদা) বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে। ৩ সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল যথাক্রমে ১৭০ ও ৩০০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। প্রতি ডজন মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা হয়েছে।

কাওরান বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ও পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ধুন্দল, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। টমেটোর কেজি ১২০ টাকা।

পেঁয়াজ কিনতে আসা নাসরিন বেগম বলেন, ১ টাকাও আয় বাড়েনি। অথচ খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আগে যেখানে ২ কেজি সবজি লাগত, বাধ্য হয়ে সেখানে ১ কেজিতেই চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।

এক খুচরা বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, কোল্ড স্টোরেজে প্রচুর পরিমাণে আলু মজুত রয়েছে। সরকার তাদের ধরেন না কেন? তারা কেন বড় বড় ব্যবসায়ীদের ধরেন না? তারাই তো আলু মজুত করে বসে আছেন।

কাওরান বাজারের এক মুদির দোকানি জানান, আড়ত মালিকরা সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বেশি দামে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তাদের কাছে দোকানিদের বকেয়া থাকায় নির্ধারিত দামে না কিনলে মালপত্র না দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে। ফলে ব্যবসার স্বার্থে বেশি দামে আলু-পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।