ঢাকা, বুধবার ২৪, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৩:১৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ফুড সেফটি নিশ্চিত না হলে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর অর্থ নেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের দিকে আসা বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন শেখ হাসিনা-সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু নোয়াখালীতে চর দখল নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ৫

এবার ঘাস থেকে হচ্ছে রুটি তৈরির আটা!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০২ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বজুড়ে করোনা তাণ্ডব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও চরম মূল্যস্ফীতির জেরে সবার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে উন্নত দেশগুলো থেকে শুরু করে দরিদ্র দেশগুলো। জাতিসংঘ বলছে, ২০১৯ সালের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে সাড়ে ৩৪ কোটি ছাড়িয়েছে।

তবে এবার সুখবর দিলো আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার একদল শিক্ষার্থী। দেশটির নাকুরু কাউন্টির কাবারক বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী সম্প্রতি শুকনো ঘাস থেকে রুটি বানানোর আটা উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। চরম দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে, ক্ষুধা ও খরার সমাধান খুঁজে বের করতে গিয়ে উগালি নামের এই আটা তৈরি করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজনেস ফ্যাকাল্টির স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ফেইথ ওয়ান্ডিয়ারের নেতৃত্বে ক্লিনিক্যাল মেডিসিনের শিক্ষার্থী ইনোসেন্ট বাহাটি ইকোনমিক্সের শিক্ষার্থী সালোমে এনজেরি, কম্পিউটার সাইন্সের শিক্ষার্থী এডগার রোটো ২০২০ সালে এই প্রজেক্ট শুরু করেন। ফেইথ জানান, খাদ্যের দাম দিন দিন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই সমস্যাটিই আমাদেরকে এমন কিছু উদ্ভাবন করতে প্ররোচিত করেছে। আমরা গবেষণার মাধ্যমে ঘাসকে ভোজ্য স্টার্চে রূপান্তরিত করেছি। যা ভুট্টার আটার বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, এবং ট্রেডিশনাল পোরিজ রান্না করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি গমের আটার বিকল্পও হতে পারে।

প্রক্রিয়াটি শুরু হয় শুকানো ঘাস পিষে পাউডার তৈরি করা হয়। তারপর এটিতে এনজাইম দিয়ে হাইড্রোলাইজ করা হয়। সহজলভ্যতার কারণে এই প্রক্রিয়ায় বারমুডা এবং রাইগ্রাস প্রজাতির ঘাস ব্যবহার করা হয়।

ফেইথ আরও জানান, দ্রবণ প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে, আমরা এটিকে সরিয়ে একটি সেন্ট্রিফিউজে রাখি যেখানে দ্রবণ থেকে স্টার্চ আলাদা করা হয়। তারপরে আমরা এটিকে সেন্ট্রিফিউজ থেকে সরিয়ে শুকিয়ে ফেলি। শুকানোর পরেই পাওয়া যায় স্টার্চ বা আটা।


পণ্যটি বাণিজ্যিকীকরণের জন্য অনুমোদিত হলে, প্রতি কেজি ৩৫ কেনিয়ান সিলিং বা প্রায় ৩০ টাকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হবে।