ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:২৭:৪০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

করোনা ইউনিট স্থাপনে গাফিলতি ছিল ইউনাইটেড হাসপাতালের

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২৮ পিএম, ১১ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার

করোনা ইউনিট স্থাপনে গাফিলতি ছিল ইউনাইটেড হাসপাতালের: তদন্ত প্রতিবেদন

করোনা ইউনিট স্থাপনে গাফিলতি ছিল ইউনাইটেড হাসপাতালের: তদন্ত প্রতিবেদন

করোনা ইউনিট স্থাপনে গাফিলতি ছিল গুলশানে অবস্থিত বেসরকারী ইউনাইটেড হাসপাতালের। চূড়ান্ত অবহেলার কারণেই বৈদ্যুতিক গোলযোগে এসি থেকে হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক  (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন আজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার  প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।তদন্ত কমিটি বুধবার (১০ জুন) ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদন আজ স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আজ বলেন, 'দু’টি বিষয় আমরা উল্লেখ করেছি। প্রথমত, তারা টেম্পোরারি শেড তৈরি করেছে, আইসোলেশন ইউনিটের জন্য। এটা তৈরির জন্য যে ম্যাটেরিয়ালগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো অতি দাহ্য পদার্থ ছিল এবং সেখানে সেন্ট্রাল বা একটিভ কোনও ফায়ার প্রটেকশন ছিল না।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি আরও বলেন, দ্বিতীয়ত, ভেতরে যারা ছিলেন—চিকিৎসক, নার্স বা স্টাফ, তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেননি।

দি লাইফ সেভিং ফোর্স বাহিনীর ডিজি জানান, আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লাগার পর যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন হাসপাতালের দায়িত্বরতরা। কিন্তু তারা আগুন নেভাতে কোনও কাজ করেননি। ভবিষ্যতে এ ধরনের টেম্পোরারি শেড তৈরি করতে হলে অবশ্যই অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং এগুলোকে কেন্দ্রীয় ফায়ার প্রকেটশন সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্যরা আজ গণমাধ্যমকে জানান, হাসপাতালের সামনের অংশে নির্মাণ করা আইসোলেশন ইউনিটে কোনও ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ভেতরে এসি ছিল। ওই এসিতে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিলে সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা ছড়িয়ে পাড়ে।

গুলশান থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, গত ২৭ মে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আগুন লাগে। সেখানে ভর্তি থাকা পাঁচ জন রোগী আগুনে পুড়ে মারা যান। পাঁচজনের মধ্যে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। বাকি দু'জনে নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।এ ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে ৩ জুন ডিএমপির ‍গুলশান থানায় ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের পদবি উল্লেখ করে নিহতের একজন স্বজন মামলা দায়ের করেন।

এর আগে ২৮ মে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ফায়ার সার্ভিস।বুধবার ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। আজ সেই প্রতিবেদন স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।