ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৫৮:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

কুমিল্লার পথ-প্রান্তর রাঙিয়ে তুলেছে কৃষ্ণচূড়ার লাল  

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:২৯ পিএম, ১৪ মে ২০২২ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

‘গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো অনেকেই বাংলা কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা ভঙ্গিমায় এনেছেন কৃষ্ণচূড়াকে। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের পথে-প্রান্তরেরও শোভা বর্ধন করে যাচ্ছে। গ্রীষ্মে যখন এই ফুল ফোটে তখন প্রকৃতি প্রেমীদের হাতছানি দেয়। কৃষ্ণচূড়ার এ অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে উঠছে ভাবুক মন।
রক্তরাঙা ফুল কৃষ্ণচূড়ার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য গ্রামের সবুজ প্রান্তর, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ও বাড়ির আঙ্গিনা ছাড়িয়ে রাঙিয়ে তুলেছে কুমিল্লার পথ-প্রান্তর। বাংলা প্রকৃতির রূপরঙ্গের প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম। আর এ গ্রীষ্মেই কুমিল্লার  রাস্তার মোড়ে মোড়ে আর বিভিন্ন ভবন ও অফিস পাড়ায় গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ার লালআভা সৃষ্টি করেছে বৈচিত্যময় পরিবেশ। বৈশাখের শুরুতেই নগর, গ্রাম-গঞ্জের দৃশ্যপট রমণীয় ও মোহনীয় করে তুলেছে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুল।
কৃষ্ণচূড়া। যে ফুল গাছের দিকে তাকালে চোখ জুড়ে যায়। এ ফুল গাছের আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে হলেও সমগ্র এশিয়া জুড়ে কৃষ্ণচূড়ার জুড়ি নেই। ভারত ও পাকিস্তানে কৃষ্ণচূড়া গুলমোহর নামেই পরিচিত। বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়ার ডালে এ ফুলের আর্বিভাব ঘটে চৈত্রের শেষের দিকে। আর বৈশাখের শুরুতে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় তার রক্তরাঙা রূপ। কেবল গ্রামেই নয়, নগর জীবনেও মানুষের দৃষ্টির সীমানায় স্থান করে নিয়েছে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া।
কুমিল্লা নগরীর রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বাসভবনে অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছ ডাল-পালা ছাড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসব গাছে গাছে ফুটে থাকা লাল ফুল পুরো নগরকে রাঙিয়ে তুলেছে। জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও কার্যালয়ে, পুলিশ সুপারের বাসভবন ও কার্যালয়ে, নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায়, শিল্পকলা একাডেমি, গণপূর্ত ভবনের সামনে, মোগলটুলি টেলিগ্রাফ অফিসের সামনে, ফোজদারী মোড়ে, জেলা পরিষদ ও নগর ভবনের রাস্তার পার্শ্বে, রেইসকোর্স কৃষি ব্যাংকের সামনে, বাদুরতলা চার্চের সামনে, ধর্মসাগররের দক্ষিণ পাড়ে মহিলা মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, পার্ক চত্বরে, এতিহাসিক রাণীর কুটিরের ভেতরে, স্টেশন ক্লাবের গেইটে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস আঙ্গিনায় ও ধর্মসাগরের পূর্বপাড়ে, কুমিল্লা জিলাস্কুল চত্বরে, চকবাজার রোডের আমীরদীঘির উত্তর পাড়ে এবং হাউজিং এস্ট্রেটের অধিকাংশ বাড়ীর সামনেসহ নগরীর অন্যান্য স্থানেও দেখা মিলবে রক্তরাঙা ফুলে আচ্ছন্ন কৃষ্ণচূড়া গাছের। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রক্তিম জাগরণ পথচারিদের মুহূর্তের জন্য হলেও শিহরণ জাগায় এবং রোদ্দুর দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া দেয় প্রশান্তি। কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রাম ও নগরীর কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো যেন পরিপূর্ণ পরিচর্যা নিয়ে টিকে থাকতে পারে এবং নগরীর রাস্তার পার্শ্বে আরো কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করে নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কুমিল্লার উদ্ভিদবিদগণ।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেরুন্নেছা জানান- কৃষ্ণচূড়া অবশ্যই প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ। তবে এর অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। যা আমাদের অনেকেরই অজানা। এছাড়া গ্রীষ্মের খরতাপে ছায়াদান করে কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ। 
তিনি জানান- কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস আফ্রিকার মাদাগাস্কার দ্বীপে। ১৮২৪ সালে মরিশাস থেকে আসে ইংল্যান্ডে। পরে আসে ভারতীয় উপমহাদেশে। কৃষ্ণচূড়া বর্তমানে ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকা, হংকং, তাইওয়ান, চীন, ভারতসহ বাংলাদেশে হয়। কিন্তু ফুল ফোটার মৌসুম বিভিন্ন দেশে ভিন্ন সময়। 
তিনি বলেন, আমাদের সবারই উচিত অন্তত একটি করে হলেও কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ রোপণ করা। এতে একদিকে বাড়বে প্রকৃতির সৌন্দর্য, অপরদিকে ভেষজ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই বৃক্ষ।