ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৩২:৩১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান… পূর্বাচল ৩০০ ফিটে নেতাকর্মীদের ঢল মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত পোস্টাল ভোটে নিবন্ধনের সময় বাড়লো হাদি হত্যায় মোটরসাইকেল চালকের সহযোগী গ্রেপ্তার ইন্টারনেট শাটডাউন চিরতরে নিষিদ্ধ করল সরকার

চার নারী লে. কর্নেলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১৭ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

ছবি : সংগ্রহ করা

ছবি : সংগ্রহ করা

নারীর ক্ষমতায়নের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনাকারী সেনাবাহিনীর ফাইটিং ফোর্সে সর্বপ্রথম লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৪ নারী কর্মকর্তা আজ সোমববার  গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
নারী সেনা কর্মকর্তাদের এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী ও সাহসী সিদ্ধান্তের সফল বাস্তবায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীতে প্রথম বারের মত ফাইটিং ফোর্সের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ওই ৪ জন নারী সেনা কর্মকর্তা। ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে তারা বৃহস্পতিবার নিয়োগ পান এবং সেনাবাহিনী প্রধান তাদের লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবীর র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
ফাইটিং ফোর্সের প্রথম নারী ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ৪ নারী লে. কর্নেল অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রত্যেকেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে ২০০০ সালে সেনাবাহিনীতে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।
সেনাবাহিনীতে যোগদানের ব্যাপারে বাবা-মার কাছ থেকেও তারা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। এছাড়া তাদের উপর আস্থা রেখে ব্যাটালিয়ন কমান্ডের দায়িত্ব প্রদান করায় তারা সেনা নেতৃত্বকেও ধন্যবাদ জানান।
এদের প্রত্যেকের স্বামীও সেনা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এরা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানজিদা হোসেন (আর্টিলারি) লে. কর্নেল সৈয়দা নাজিয়া রায়হান (আর্টিলারি) লে. কর্নেল ফারহানা আফরীন (আর্টিলারি) এবং লে. কর্নেল সারাহ্ আমির (ইঞ্জিনিয়ার্স)। তারা সামরিক বাহিনীর কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ২০০০ সালে বিএমএতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
তারপর দীর্ঘ ২ বছর কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ ১৬ বছরের চাকুরী জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তারা আজকের এই সাফল্যজনক অবস্থানে পৌঁছেছেন।
সেনাবাহিনীতে নারীরা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই পুরুষের পাশাপাশি সফলভাবে চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে রয়েছে নারী প্যারাট্রুপার ও নারী বৈমানিক। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও নারী সেনা কর্মকর্তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন।