ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:০৪:৪৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পূর্বাচল ৩০০ ফিটে নেতাকর্মীদের ঢল মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত পোস্টাল ভোটে নিবন্ধনের সময় বাড়লো হাদি হত্যায় মোটরসাইকেল চালকের সহযোগী গ্রেপ্তার ইন্টারনেট শাটডাউন চিরতরে নিষিদ্ধ করল সরকার

চিনির বদলে যেসব প্রাকৃতিক মিষ্টি খেতে পারেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বেশিরভাগ মানুষের মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কারো কারো জন্য মিষ্টি ছাড়া খাবার অসম্পূর্ণ থাকে আবার কারো কারো জন্য দিনের যেকোনো সময় মিষ্টি খেতেই হয়। অতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস এবং ফ্যাটি লিভার রোগের কারণ হতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে মিষ্টি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে। আপনাকে প্রাকৃতিক মিষ্টি ব্যবহার করতে হবে যা চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প। চিনি প্রতিস্থাপনের জন্য নীচে কয়েকটি সেরা প্রাকৃতিক মিষ্টির তালিকা দেওয়া হলো-

১. খেজুর

খেজুর হলো কম ক্যালোরি, উচ্চ পুষ্টির চিনির বিকল্প। খেজুর ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিনের একটি চমৎকার উৎস। তবে মনে রাখবেন যে খেজুর অত্যন্ত মিষ্টি, তাই আপনার রেসিপিতে এটি অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন। খেজুর পেস্ট তৈরি করতে একটি ব্লেন্ডারে এক বাটি বীজবিহীন খেজুর, ১ কাপ উষ্ণ পানি মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।

২. কিশমিশের পেস্ট

যদি আপনার খেজুর না থাকে, তাহলে আপনি কিশমিশ বা কিশমিশের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন, যা স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। কিশমিশে প্রচুর আয়রন থাকে। যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং ফাইবার হজমে সহায়তা করে। ঘন এবং সুস্বাদু কিশমিশের পেস্ট তৈরি করতে এক কাপ কিশমিশ এবং এক কাপ গরম পানিয়ে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

৩. গুড়

চিনির আরেকটি দুর্দান্ত বিকল্প হলো গুড়। গুড়ে প্রচুর আয়রন থাকে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। গুড় আমাদের দেহে হজমকারী এনজাইমকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ এবং হজমে সহায়তা করার জন্য খাবারের পরে এক টুকরো গুড় খান।

৪. মধু

মধু একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি, তবে এতে সাদা চিনির চেয়ে বেশি ক্যালোরি রয়েছে। যদিও এর পুষ্টিগুণ রয়েছে, তবে এটি পরিমিত খাওয়া উচিত। মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। প্রদাহ হৃদরোগ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার এবং ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। হজম ভালো করার জন্য এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে এক চামচ মধু যোগ করুন এবং সকালে খালি পেটে পান করুন।