ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২:১৩:৫৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

জীবন না বাঁচলে, জীবিকার কী প্রয়োজন : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪১ পিএম, ৯ মে ২০২০ শনিবার

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।  পুরোনো ছবি

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। পুরোনো ছবি

বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জীবন ও জীবিকা দুটোই প্রয়োজন বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তবে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জীবন যদি না থাকে, সেই জীবিকা দিয়ে কী প্রয়োজন।’

অনলাইন জরিপে ৯৩ শতাংশ বর্তমান প্রেক্ষাপটে শপিংমল না খোলার এবং ৯৬ শতাংশ শপিংমলে না যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন-এমন তথ্য তুলে ধরে আজ শনিবার ‘কোভিড-১৯ বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বাজেট ২০২০-২১’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ড. ফাহমিদা।

তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ থেকে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাকে আমরা লকডাউন হিসেবেই দেখছি। সেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানোর জন্য সারা বিশ্বেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।’

ফাহমিদা বলেন, ‘লকডাউন যেহেতু এক মাসের বেশি সময় ধরে রয়েছে, সে কারণে বিভিন্ন পক্ষ থেকে তা তুলে নেওয়ার জন্য এক ধরনের চাপ রয়েছে। কারণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। সীমিত আকারে শপিংমল, দোকানপাট খুলে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।’

‘আমরা মনে করি জীবনকে বাঁচাতে হবে আগে। তারপর জীবিকাও দরকার। জীবনই যদি না থাকে, তাহলে জীবিকা দিয়ে কী প্রয়োজন। সুতরাং এজন্য সুচিন্তিতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘শপিংমল, পরিবহন, কাঁচাবাজার এসব জায়গাগুলোতে মানুষের সমাগম বেশি হয়। যেখানে মানুষের সমাগম বেশি হয়, সেখানে এটার (করোনাভাইরাস) বিস্তার বেশি হয়। আমরা অনলাইনে একটি জরিপ করি। তাতে প্রশ্ন ছিল-বর্তমান পরিস্থিতিতে শপিংমল খুলে দেওয়া প্রয়োজন কি-না? এর উত্তর দিয়েছেন ২ হাজার ২৬৪ জন। এদের মধ্য ২ হাজার ১০০ জন ‘না’ ভোট দিয়েছেন। সেটা প্রায় ৯৩ শতাংশ। আর ১৬৪ জন খুলে দেওয়ার পক্ষে। সুতরাং, আমরা দেখছি অধিকাংশ শপিংমল না খোলার পক্ষে।’

‘আমরা আরেকটি প্রশ্ন করেছিলাম, শপিংমল খুলে দিলে আপনি যাবেন কি-না? এর উত্তর দিয়েছেন ১ হাজার ০৪৭ জন। এর মধ্যে ১ হাজার জন বলেছেন শপিংমলে যাবেন না। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ শপিংমলে না যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপরীতে ৪৭ জন শপিংলে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সুতরাং মানুষ কী ভাবে তা বিবেচনায় নেওয়া ভালো’, বলেন ফাহমিদা।