ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:২৯:৫৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

দূষিত বাতাসের শহর, ষষ্ঠ অবস্থানে ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ২১ জুন ২০২০ রবিবার

দূষিত বাতাসের শহর, ষষ্ঠ অবস্থানে ঢাকা

দূষিত বাতাসের শহর, ষষ্ঠ অবস্থানে ঢাকা

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আজ রোববার সকালে ষষ্ঠ খারাপ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) সকাল ৮টা ৩৯ মিনিটে জনবহুল এই শহরের স্কোর ছিল ১১৬। যা বাতাসের মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং পাকিস্তানের লাহোর দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।

একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। এ সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। তবে একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়া একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মৌসুমি জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বৃষ্টিপাত, উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতায় বৈচিত্র্য দেখা যায়।

জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তবে মধ্য জুন থেকে বৃষ্টিপাত শুরুর পর বাতাস পরিষ্কার হতে আরম্ভ করে। আর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বর্ষার মৌসুমে বাতাসের মান মোটামুটি গ্রহণযোগ্য থাকে।

বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।