ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:৩৬:৩০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

নওগাঁর বাগানগুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। এখানকার বাগানগুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলছে বিভিন্ন জাতের আম। আর কিছুদিনের মধ্যেই পরিপক্ক হবে। এরপর বাজারজাত করবেন চাষিরা। চলতি বছর জেলা থেকে প্রায় এক হাজার ৮৪২ কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে সম্ভাব্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন। যেখানে প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি আম ৫০ টাকা হিসেবে এ বছর এক হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলাভিত্তিক আম বাগানের পরিমাণ, পরশা উপজেলায় ১০ হাজার ৫২০ হেক্টর, সাপাহারে ১০ হাজার হেক্টর, পত্নীতলায় চার হাজার ৮৬৫ হেক্টর, নিয়ামতপুরে এক হাজার ১৩৫ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৫২৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬৮০ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর ও ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর।

জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার, পরশা, ধামইরহাট ও নিয়ামতপুর উপজেলার কিছু অংশ বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত। বছরে একটিমাত্র বৃষ্টি নির্ভর ফসল আমন ধানের ওপর নির্ভর করতো হতো চাষিদের। পানি স্বল্পতার কারণে অন্যান্য ফসল চাষ করা সম্ভব হতো না। সেসব জমিতে ধানের আবাদ কমিয়ে চাষিরা আম চাষে ঝুঁকছেন। এতে লাভবানও হচ্ছেন তারা।

পরশা উপজেলার ডাহুতি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আমচাষি জাহিদুর রহমান বলেন, দুই বিঘা জমিতে আম্রপালি জাতের বাগান রয়েছে। ঝড়ে কিছু আম পড়ে গেছে। তবে যা আছে ভালো। এ আম বাজারে আসতে এখনো প্রায় এক মাস সময় লাগবে। ছত্রাক ও পোকা দমন রোধে কীটনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি পরিচর্চা করা হচ্ছে। আশা করছি এ বছর ভাল দাম পাবো।

উপজেলার ঘাটনগর কাটারিপাড়া গ্রামের আমচাষি মজিবর রহমান বলেন, আমাদের এলাকা বরেন্দ্রভূমি। একসময় বছরে একটিমাত্র ফসল আমন ধানের আবাদ হতো। সেটাও বৃষ্টির ওপর নির্ভর করতে হতো। গত ১২-১৫ বছরের ব্যবধানে আমাদের উপজেলায় প্রচুর আমবাগান গড়ে উঠেছে। আমে লাভবান হওয়ায় মানুষ এখন ধান ছেড়ে আম বাগান করছেন। আমারও ১০ বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে। গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে ভাল দাম পাওয়া যায়নি। তবে আশা করছি এবার লাভবান হবো।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল ওয়াদুদ বলেন, এ বছর শুরু থেকে আমের অবস্থা খুবই ভালো। এ বছর প্রায় তিন লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আম বেশি উৎপাদিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চাষিরাও লাভবান হবেন।