ঢাকা, রবিবার ২১, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১১:১৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

না.গঞ্জে ভুয়া নারী চিকিৎসক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ভুয়া চিকিৎসক ফাহমিদা আলম

ভুয়া চিকিৎসক ফাহমিদা আলম

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদনবিহীন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব এক ভুয়া নারী ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে। এসময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই ভুয়া নারী ডাক্তারকে ছয় মাসের সাজা দিয়েছে। একই সঙ্গে হাসাপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাব সদরদপ্তরের সহকারী পরিচালক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানূর রহমান বিষয়টি জানান। 

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-১১ এর অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার ‘এম হোসেন জেনারেল হাসপাতালে’ রোগী দেখার সময় ওই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

মিজানূর রহমান জানান, গ্রেফতার হওয়া ওই নারীর নাম ফাহমিদা আলম (২৫)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ফাহমিদা আলম দীর্ঘদিন নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে এই হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখে আসছে। সে তার নামের পাশে ডিগ্রি হিসেবে নিজেকে ডা. ফাহমিদা আলম এমবিবিএস, পিজিটি (গাইনি অ্যান্ড অবস), এমসিএইচ (ডিএসএইচ) সিএমইউ, ডিএমইউ মেডিসিন গাইনি ও শিশু রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও সনোলজিস্ট হিসেবে প্রেসক্রিপশন ফরমে উল্লেখ করেছে।

মিজানূর রহমান আরও জানান, রোগী দেখার সময় বিভিন্ন প্রকার প্যাথোলজিক্যাল টেস্ট দিয়ে তাদের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিতো ফাহমিদা। র‌্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার সনদ দেখতে চাইলে সেই কোনো সনদ দেখাতে পারেনি সে।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ম্যাটস থেকে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করা ফাহমিদা আলম ওই হাসপাতালে আলট্রাসনোর টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি নেয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখা শুরু করে। এভাবে রোগীদের সঙ্গে সে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে।

এই ভুয়া নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।  হাসপাতালটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।