ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:১৯:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

নিজের সাবেক স্ত্রী ভেবে অন্যের স্ত্রীকে হত্যা, অতঃপর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নিজের সাবেক স্ত্রীকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলে অন্যের স্ত্রীকে হত্যা করে ফেলেন সেকুল মিয়া। তিনি পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। হত্যার শিকার নারীর নাম আশা আরা আয়েশা (২৩), তিনি একজন গার্মেন্টসকর্মী। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় ঘটনাটি ঘটে গতকাল শুক্রবার (৩০ অক্টোবর)। ঘটনাস্থলেই সেকুলকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয় জনতা। সেই ঘটনায় গতকাল রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করেন হত্যার শিকার নারীর স্বামী রুবেল হোসেন।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল হোসেন।


তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত সেকুল মিয়াকে আজই আদালতে পাঠানো হচ্ছে। নিজের সাবেক স্ত্রী ভেবে অন্যের স্ত্রীকে হত্যার কথা তিনি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

সেকুলের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চার বছর আগে স্ত্রী শেফালি আক্তারের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে সেকুলকে আবারও বিয়ে করতে রাজি হন শেফালি। কিন্তু এক মাস আগে শেফালি অন্য একজনকে বিয়ে করে ফেলেন। গতকাল শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে মোহম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে যান সেকুল। সেখানে সাবেক স্ত্রী শেফালিকে বোরকা পরা অবস্থায় একটি রিকশার মধ্যে দেখতে পেয়ে তারা ওই রিকশার পিছু নেন।

একপর্যায়ে রিকশাটির গতিরোধ করে এর আরোহীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক আঘাত করেন সেকুল। পরে আঘাত পাওয়া নারী রিকশা থেকে নিচে পড়ে গেলে সেকুল বোরকার মুখ খুলেই বুঝতে পারেন ওই নারী তার স্ত্রী নন। শেফালি তখন পাশেই অন্য একটি রিকশায় ছিলেন। সেকুল যাকে আঘাত করেন তার নাম আয়েশা। নিজের ভুল বোঝার পর সেকুল নিজেই আয়েশাকে হাসপাতালে নিতে চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয়রা তাকে ধরে পিটুনির পর পুলিশে দেন।

আয়েশার স্বামী রুবেল হোসেন জানান, রিকশায় করে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে আদাবর নর্দা হাউজিং বাজার চৌরাস্তা এলাকায় তার স্ত্রীর গতিরোধ করেন দুইজন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিঠে এবং হাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।

ঘটনার পর কাজল নামে এক পথচারী অন্যদের সহায়তায় আয়েশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রুবেলও যান হাসপাতালে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে হাসপাতালে আয়শাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। পাশাপাশি অপারেশন করে রক্তক্ষরণ বন্ধেরও চেষ্টা করা হয়। পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে তাকে নেওয়া হয় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান আয়েশা।

পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল হোসেন জানান, সেকুল মিয়া পাঁচ বছর আগে শেফালিকে বিয়ে করেন। চার বছর আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। তিনি গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় থাকেন। শেফালিকে তিনি আবার বিয়ে করতে চাইলে সেকুলের কাছ থেকে শেফালি টাকাও নেন।

দুলাল হোসেন বলেন, ‘নিহতের পরিবার এখনও হাসপাতালে আছে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে আছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’