ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:২৬:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে অস্বীকৃতি শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৫ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ এবং বিকেলের মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হল ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ভিসির ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলার প্রতিবাদ এবং ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এছাড়া তারা টিএসসিতে পাঠদান না করানো, সেমিনার রুমের ভাড়া ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫শ টাকা করা এবং সকল জাতীয় দিবস শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে উদযাপন করার দাবি তুলেছেন। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বৈকালিন চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের বাইরে প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনায় ভিসি ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিবাদে এবং ভিসির ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একক ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, গত বুধবার মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের জিন্মি করেছিল। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-সাধারণ শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এই আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়, স্বার্থাস্বেষী মহলের ইন্ধনে একটি বিশেষ গোষ্ঠী আন্দোলনের নামে অরজকতা করছে। এটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে। কেউ ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি।

-জেডসি