বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি ও তার প্রয়োগ
অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার
প্রতীকী ছবি
মানুষের দ্বারা সংগঠিত জঘন্য অপরাধগুলোর মধ্যে জঘন্যতম হলো ধর্ষণ। ধর্ষণের শাস্তি সব সমাজ ব্যবস্থাতেই রয়েছে। তবে স্থান, কাল, পাত্রভেদে তাতে তারতম্য দেখা যায়। ধর্ষণকে এক ধরণের সামাজিক ব্যধিও বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে এই অপরাধ সংগঠিত হতে দেখা যায়। তবে সময় ভেদে মাত্রার পরিমাণ কমবেশি হয়ে থাকে।
ধর্ষণ কি প্রথমেই তা জানা যাক-
কোনো ব্যক্তির সাথে তার অনুমতি ব্যতীত কিংবা জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কে যাওয়াকেই সাধারণভাবে ধর্ষণ বলে।
একজন পুরুষ যদি কোন মেয়ের অনুমতি ছাড়া বা সেই মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা ভবিষ্যতে স্ত্রী রূপে গ্রহণ না করলেও কোন মেয়েকে মিথ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্মতি আদায় করে তাহলেও তাই ধর্ষণের মত অপরাধ। এছাড়া কোন মেয়ের বয়স চৌদ্দ বছরের নিচে হলে তার অনুমতি না নিয়ে যৌন সম্পর্কে গেলে একজন পুরুষকে বাংলাদেশী দন্ডবিধির ১৮৬০ (১৮৬০ সালের আইন XLV) ৩৭৫ ধারা অনুসারে- ‘ধর্ষণকারী ’ হিসেবে গণ্য করা হবে ।
বর্তমানে দেশে ধর্ষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে প্রতিটি মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। দেশের প্রতিটা মানুষেরই এর শাস্তি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইন ২০০৩ সেকশন ৯ অনুসারে ধর্ষণের শাস্তি হলো, ধর্ষণের কারণে বা ধর্ষণের পর ভিক্টিমের কোনো ক্ষতি হলে বা ভিক্টিম র্ধষণের পর মারা গেলে ধর্ষণকারীকে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে এবং এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হবে।
কোন নারী বা শিশুকে একাধিক ব্যক্তি মিলে ধর্ষণ করলে এবং সেই মহিলা বা শিশু মারা গেলে বা আহত হলে প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হবে।
যেকোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণের পর মৃত্যু বা আঘাত করার চেষ্টা করলে, তাকে কঠোর কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হবে।তবে ধর্ষণের বর্ণনা যথাযথভাবে দিয়ে দোষ স্বীকার করলে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, যা পরবর্তীতে কমে ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে কিন্তুএর কম মেয়াদ নয় এবং জরিমানাও হতে পারে।
কোনো নারী পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিত হলে হেফাজতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যকেও নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার জন্য শাস্তি দেওয়া হবে। সেইসাথে ধর্ষণের বর্ণনা যথাযথভাবে দিয়ে দোষ স্বীকার করলে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, যা কমে ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে এবং জরিমানাও হতে পারে।
আমাদের সমাজে সাধারণত আগে দেখা যেতো যে ধর্ষিতাকে একঘরে করে রাখা হতো বা সমাজে তাকে বাঁকা চোখে দেখা হতো। সেইসাথে তার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দেয়া হতো বা যা এখনো হয়। তবে পরিস্থিতি কিন্তু পুরোটা না পাল্টালেও এখন অনেকটাই পাল্টেছে। মানুষ এখন অনেক বেশি সোচ্চার,এখন আর ঘরের কোণে লুকিয়ে না থেকে এই ধরণের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রতিবাদ করে মানুষ পাশাপাশি নেয় আইনের আশ্রয়। এ ব্যাপারে আমাদের দেশর আইন যেমন কঠিন তেমন আইনের প্রয়োগও হয় বেশ দ্রুত।
- খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
- ‘রুনা-জয়া এভাবে ছবি না তুললেও পারেন’
- ১১ দলের লিগ শুরুর ঘোষণা বাফুফের
- বয়স হচ্ছে, এক্সাইটমেন্ট আর আসলে নেই: তাসনুভা তিশা
- মেসি ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- পালিয়ে যেভাবে নোবেল পুরস্কার নিতে এসেছেন মাচাদো
- ভোটের মাঠে ফখরুলকন্যা
- ওয়ারীতে ৫ হাজার ইয়াবাসহ নারী মাদককারবারি গ্রেপ্তার
- ‘রোগ প্রতিরোধে চিকিৎসার চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যকর’
- আন্দোলনে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আসছে কঠোর ব্যবস্থা
- ফের পেছাল ‘জিটিএ সিক্স’-এর মুক্তি
- নবজাতকের সংক্রমণ হলে বুঝবেন যেভাবে
- শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- হঠাৎ নো মেকআপ লুকে জয়া আহসান!
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা
- হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন
- ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
- হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান তাসনিম জারার
- বিশ্বে প্রতি ২০ নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত
- এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা
- হাদির পরিবারের পাশে ডা. জুবাইদা রহমান
- ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না পলাতক ব্যক্তিরা
- ‘ডাক্তার ও নার্সদের রুমকে ‘পার্টি অফিস’ বানাবেন না’
- শীতে পিরিয়ডের সময় যে ফলগুলো খাবেন না
- মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- পাকিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজও হারল বাংলাদেশ

