ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:১৮:৫৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

ব্যাকটেরিয়ার টেকসই টিকা উদ্ভাবনে গবেষণা করছেন মমতা

উইমেননিউজ ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে রসায়ন বিভাগে বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মমতা আক্তার। প্রাণঘাতী গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দমনে কার্যকর ও টেকসই টিকা উদ্ভাবনে গবেষণা করছেন তিনি। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েট টিচিং ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে গবেষণা করছেন অধ্যাপক শুফেই হুয়াংয়ের তত্ত্বাবধানে।

ময়মনসিংহে বেড়ে ওঠা মমতা আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) রসায়ন বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন বৃত্তি নিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য আসা, বিশেষ করে একজন মেয়ে হিসেবে মমতা আক্তারকে অনেক বাধা মোকাবিলা করতে হয়েছে। মমতা আক্তার বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই শিক্ষাজীবনে নানা বাধা অতিক্রম করেছি। আর্থিক অনটনের কারণে টিউশন ফি, বই ও অন্যান্য শিক্ষাসংক্রান্ত খরচ মেটানো ছিল কঠিন। তবু আমি পড়াশোনায় অবিচল থেকেছি এবং নিজেকে এগিয়ে নিতে যতটা সম্ভব উদ্যোগ নিয়েছি।’

বাংলাদেশে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একাডেমিক ও গবেষণাজীবনে আসার বিষয়ে মমতা আক্তার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে একাডেমিক ও গবেষণাভিত্তিক জীবনে আসাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ভিন্নধর্মী শিক্ষার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পড়াশোনা নিজের মতামত লেখতে শেখায়। এগুলো আমাদের দেশে কম দেখা যায়। তাই শুরুতে এখানে এসে মানিয়ে নিতে বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। ইংরেজিতে আমি দক্ষ তারপরও এখানকার ইংরেজির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে প্রচুর অনুশীলন করতে হয়েছে।’

মমতা আক্তার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। পড়াশোনা অনেকটা অনলাইননির্ভর। অনলাইন কোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, গবেষণা ডেটাবেজ ও বিশ্লেষণধর্মী সফটওয়্যারের কাজ শিখতে হয়। এগুলো অনেক কঠিন ছিল। তবে ধৈর্য ধরেছিলাম।’

বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকার (বিএসিএবিএএনএ) মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মমতা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমরা এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করি, যেখানে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও একাডেমিকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সদস্যরা উত্তর আমেরিকায় চাকরি, ইন্টার্নশিপ ও পোস্টডক্টরাল পজিশনের মতো সুযোগ খুঁজে পেতে সহায়তা পান।’

বাংলাদেশি যে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য আসতে চান, তাঁদের উদ্দেশে মমতা আক্তার বলেন, ‘বিজ্ঞানের যেকোনো বিষয়ে পড়তে আসতে চাইলে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও প্রোগ্রামিং বিষয়ে দেশে থাকতেই দক্ষ হয়ে আসা ভালো। বিশেষ করে যাঁরা রসায়নে পড়তে আসতে চান, তাঁরা শুধু বিক্রিয়ার মুখস্থবিদ্যার ওপর নির্ভর করবেন না। বরং বিক্রিয়ার পেছনের মূল প্রক্রিয়া ও নীতিগুলো বোঝার চেষ্টা করুন, যা আপনাকে গবেষক হতে সাহায্য করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৃত্তি পেতে সহায়তা করবে।’