ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮, জুলাই ২০২৫ ১৮:০৫:১৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চীনে স্কুলের খাবার খেয়ে হাসপাতালে ২৩৩ শিশু গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের প্রাণহানী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেখবেন যেভাবে দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা

মায়ের মরদেহ রেখে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ পরীক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২৬ পিএম, ৩ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মায়ের মৃত্যুর শোক মনে চেপে রেখে পরীক্ষার হলে গিয়ে বসলেন দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে তারা দুজন পা রাখলো পরীক্ষাকেন্দ্রে। 

এই দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থী মধ্যে সায়মা আক্তার হাতিয়া গ্রামের রায়হান খানের মেয়ে এবং লাবনী আক্তার কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে। তারা দুজনই আজ বৃহস্পতিবারের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তাদের মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে।

জান যায়, সায়মা আক্তার হাতিয়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী এবং সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে লাবনী আক্তার সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে।

এই ২ পরীক্ষার্থীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সায়মার মা শিল্পী আক্তার (৪০) নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে, একই দিনে দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান লাবনীর মা শফিরন বেগম (৪৫)।

সায়মা ও লাবনী দুইজনই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। শোকের এমন সময়ে ভেঙে পড়লেও আত্মীয়স্বজন ও শিক্ষকদের সাহচর্যে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে আসেন তারা।

পরীক্ষার দিন সকাল ১০টার আগে অশ্রুসজল চোখে কেন্দ্রে পৌঁছান সায়মা ও লাবনী। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সহপাঠীদের সহানুভূতি ও সহযোগিতায় তারা পরীক্ষায় অংশ নেন। 

উল্লেখ্য, লাবনীর মায়ের জানাজা সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সায়মার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে বাদ যোহর।

হাতিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, ‘সায়মা খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী। মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক।’

এদিকে সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ’এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দেওয়া মানসিকভাবে অনেক কঠিন। তবুও ওরা যে সাহস দেখিয়েছে, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’