বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলেনা: এক সাহসী যোদ্ধার গল্প
অনু সরকার | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৯:১৩ পিএম, ৪ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লুৎফুন নাহার হেলেনা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লুৎফুন নাহার হেলেনা মাগুরা জেলার একজন সাহসী যোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পবিত্র শবে বরাতের রাতে পাকিস্তানি সেনাদের বীভৎস নির্যাতনে নিহত হন তিনি। এই সাহসী নারী সকলের কাছে হেলেন নামেও পরিচিত ছিলেন।
একাত্তরের ৫ অক্টোবর দিনের বেলায় রাজাকাররা হেলেনাকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার এক গ্রাম থেকে শিশুপুত্রসহ আটক করে। পরে তাকে মাগুরা শহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাক সেনারা তাকে হত্যার পর তার মৃতদেহ জিপের পেছনে বেঁধে টেনে শহরের অদূরে নবগঙ্গা নদীর ডাইভারশন ক্যানেলে নিয়ে যায়। পরে তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহটি ক্যানেলে ছুঁড়ে ফেলে দেয় পাক সেনারা।
বীভৎস এ ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায় তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা আলী কদরের লেখায়। তিনি লিখেছেন, ‘হেলেনের মৃত্যুঘটনা ছিল করুণ ও মর্মান্তিক। মহম্মদপুর থানার এক গ্রামে অবস্থানকালে রাজাকার ও ঘাতক দালালদের গুপ্তচরের সহায়তায় হেলেন ২ বছর ৫ মাস বয়সের শিশু পুত্র দিলীরসহ রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে তারা সরাসরি নিয়ে যায় মাগুরা শহরে। এরপর পাকিস্থান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তাকে সোপর্দ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
এ অবস্থায় বৃদ্ধ বাবাসহ কয়েকজন আত্মীয় দুধের শিশুর মা হেলেনের মুক্তির জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও কোনো কাজ হয় না। শত অনুরোধ সত্ত্বেও জামাতপন্থি ঘাতক দালালরা তার মুক্তির ব্যাপারে সব চাইতে বেশি বাধা দেয়।
ঘাতক দালালরা পাকবাহিনীর কর্মকর্তাদের জানায়, হেলেনা মাগুরার বামপন্থি নেতা মাহফুজুল হকের বোন, মহম্মদপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের বাহিনী প্রধান বামপন্থি নেতা আলী কদরের স্ত্রী। আর সবচেয়ে বড় কথা তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কাজ করছেন। সুতরাং তার মুক্তির প্রশ্নই ওঠে না।
হেলেনা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের মাগুরার আঞ্চলিক শাখার নেত্রী ছিলেন। মাগুরা কলেজের ছাত্রী সংসদের নারীবিষয়ক সম্পাদিকাও ছিলেন তিনি।
হেলেনা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাগুরা শহর থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের কর্মসূচির সংবাদ জেনে তার স্বামীর কাছে পাঠাতেন। সেপ্টেম্বরে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের কাজ করার জন্য মহম্মদপুর এলাকায় যান তিনি। সেখানে নারীদের বিশেষ করে ভূমিহীন গরিব কৃষক পরিবারের নারীদের অনুপ্রাণিত করেন। পাশাপাশি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়া-দাওয়া, দেখাশোনা ও অসুস্থদের সেবাযত্নে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।
লুৎফুন নাহার হেলেনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মাগুরা শহরে। বাবা মুহাম্মদ ফজলুল হক। মা মোসাম্মৎ ছফুরা খাতুন। তারা ছিলেন পাঁচ ভাই ও নয় বোন। বোনদের মধ্যে তিনি ছিলেন ষষ্ঠ।
মেধাবী ছাত্রী হেলেনের বাবার হাত ধরে বই পড়ার অভ্যেস গড়ে ওঠে। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি নানা ধরনের বই পড়ে তার জ্ঞান ও চেতনার বিকাশ ঘটে। ১৯৬৮ সালে বিএ পাস করে মাগুরা গার্লস হাইস্কুলে (বর্তমানে সরকারি গার্লস হাইস্কুল) সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন।
- আজ মহান বিজয় দিবস
- দেশজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’
- বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
- গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি
- সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবে সরকার
- ‘হয়তো জানতেও পারবো না, মা কবে মারা গেছেন’
- মা-মেয়েকে হত্যায় ব্যবহৃত সেই ছুরিও ছিল চুরি করা
- ‘শীত পালাবে তোমায় দেখে’ মিমের রূপে মুগ্ধ ভক্তরা
- আজ থেকে শুরু হচ্ছে নারী ক্রিকেট লিগ
- এবার সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে মধুমিতা
- ১৬ বছর রাতে ঘুমাননি মির্জা ফখরুল: রাহাত আরা বেগম
- এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্প-ক্লিনটনের নতুন ছবি ফাঁস
- প্রেমিকের বাড়িতে দশম শ্রেণির ছাত্রীর লাশ, বিচার দাবি
- ওয়াংখেড়েতে এক ফ্রেমে ক্রিকেট ঈশ্বর ও ফুটবল জাদুকর
- হাদি হত্যাচেষ্টা: আরও তিন সন্দেহভাজন আটক
- আজ থেকে শুরু হচ্ছে নারী ক্রিকেট লিগ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় নাবিহা, তৃতীয় তাহমিদুল
- যুক্তরাষ্ট্রে অনিশ্চয়তায় টিকটকের বিনিয়োগকারীরা
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন নেই
- নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা
- সিডনিতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বেড়ে ১৬
- ‘শীত পালাবে তোমায় দেখে’ মিমের রূপে মুগ্ধ ভক্তরা
- ঝুঁকিতে থাকা প্রার্থী ও ব্যক্তিরা পাচ্ছেন গানম্যান-বডিগার্ড
- ওয়াংখেড়েতে এক ফ্রেমে ক্রিকেট ঈশ্বর ও ফুটবল জাদুকর
- ১৬ বছর রাতে ঘুমাননি মির্জা ফখরুল: রাহাত আরা বেগম
- মা-মেয়েকে হত্যায় ব্যবহৃত সেই ছুরিও ছিল চুরি করা
- বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
- এবার সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে মধুমিতা
- হাদি হত্যাচেষ্টা: আরও তিন সন্দেহভাজন আটক
- প্রেমিকের বাড়িতে দশম শ্রেণির ছাত্রীর লাশ, বিচার দাবি

