দেশের আট বিভাগেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী তিন দিন বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এছাড়া দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

দেশের ১৭ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি। অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি কম।

ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ পয়লা আষাঢ়। রূপময় ঋতুর প্রথম দিন। বাংলা ক্যালেন্ডারে আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস নিয়ে বর্ষাকাল। ঋতুচক্রের পরিক্রমায় আবার ফিরে এসেছে বর্ষা।

দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় সমুদ্রবন্দরসমূহকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতরর। রোববার (১১ জুন) আবহাওয়া অধিদফতরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশে বিস্তার লাভ করতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

দেশের বেশিরভাগ জায়গায় আজ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ায় উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় একটি লঘু চাপের সৃষ্টি হয়েছে। 

দেশের ৯ জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার সতর্কবার্তা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে। 

অবশেষে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে দেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। চলমান এই তাপদাহ আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চলমান তাপপ্রবাহ আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। 

উচ্চ গরম যেন পিছু ছাড়ছে না দেশবাসীর। তাপ প্রবাহে পুড়ছে দেশের এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল। খোলা আকাশে বা রাস্তায় দাঁড়ানো যায় না। হঠাৎ গরম হাওয়া এসে মুখে লাগলে পুড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়।

আজ সোমবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  সেই সঙ্গে ছয় বিভাগ ও তিন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এটি আরও চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

দেশের কোথাও তীব্র (৪০.০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি (৩৬.০ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং আগামী তিন দিন সারা দেশে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সারাদেশের চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।শুক্রবার (২ জুন) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জলবায়ু সম্পৃক্ত ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য ৩৭ হাজার ৫১ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।