ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৪:২১:৩৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

অসময়ে থোকায় থোকায় ঝুলছে ‘অমৃত’ আম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২২ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শুধু গ্রীষ্মকাল নয়, এখন সারা বছর গাছ থেকে মিলছে সুস্বাদু আম। দিনাজপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ‘কাটিমন’ জাতের আমের বাগান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এক কৃষক। এই কাটিমন আম বারোমাস সংগ্রহ করা যায় বলে এর চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে।

অসময়ে এই আম উৎপাদন হওয়ায় এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাগানের এই আম। কাটিমন আম বাগানে সব ধরনের সহযোগিতা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। অসময়ের এই কাটিমন জাতের আমকে ‘অমৃত’ আমও বলছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে রোববার (২০ নভেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, একই গাছে কোথাও মুকুল আবার কোথাও পাকা আমসহ বিভিন্ন আকারের আম ঝুলছে থোকায় থোকায়। শরীরে শীতের অনুভূতি মিললেও বাগানো থোকা থোকা আম দেখে মনে হচ্ছিলো এ যেন গ্রীষ্মকাল।

অসময়ের এই আমের কথা জিজ্ঞেস করতেই বাগান মালিক মমিনুল ইসলাম জানান, এটি কাটিমন আম। ১২ মাসেই উৎপাদন করা যায় এই আম।

তিনি জানান, কাটিমন জাতের এই আম ১২ মাস গাছ থেকে সংগ্রহ করা যায় বলে এই আম বেশ জনপ্রিয় ছাদবাগান বা শৌখিন বাগানিদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারই প্রথম দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কাটিমন আমের বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষক মমিনুল ইসলাম। উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে তিনি প্রায় তিন বছর আগে দুই একর জমিতে এই বাগান করেছেন এবং ব্যাপক ফলনও হয়েছে। তার বাগানের প্রায় এক হাজার আম গাছ থেকে এরই মধ্যে তিনি আম সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। এই অসময়ে প্রতি কেজি কাটিমন আম বিক্রি করছেন চারশ থেকে সাড়ে চারশ টাকা দরে।

কাটিমন সুস্বাদু হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কৃষক মমিনুল ইসলামের বাগানে জৈবিক পদ্ধতিতে আম উৎপাদন করছেন। তাই দেশের বাহিরে রপ্তানি করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

এদিকে মমিনুলের এই সাফল্য দেখতে অনেকে বাগান পরিদর্শন করছেন। এমন বাগান করার পরিকল্পনাও নিচ্ছেন অনেকে। বাগান দেখতে আসা বিরল উপজেলার মামুনুর রশিদ জানান, অসময়ে এই আমের কথা শুনেই তিনি এসেছেন আমের বাগানের আম দেখতে। বাগানের আম দেখে তিনিও স্বপ্ন দেখছেন এই আমচাষের।

বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, বেশ সুস্বাদু হওয়ায় কাটিমন জাতের এই আমকে ‘অমৃত’ আমও বলা হয়।

তিনি জানান, এই অঞ্চলের মাটি কাটিমন আমের জন্য বেশ উপযোগী। এই আম আবাদের সম্প্রসারণ করে বিদেশে রপ্তানিরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, বিরল উপজেলায় ৬ একর জমিতে কাটিমন আমের বাগান রয়েছে এবং কৃষকদের এই আমচাষে উৎসাহিত করছেন তারা।